বিভিন্ন সংস্থার অর্থ সরকারি কোষাগারে নিতে এই কালো আইন: মির্জা আলমগীর

বিভিন্ন সংস্থার অর্থ সরকারি কোষাগারে নিতে এই কালো আইন: মির্জা আলমগীর

বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে গতকাল বুধবার সংসদে যে আইন পাস হয়েছে, তাকে ‘কালো আইন’ বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংসদে পাস হওয়া আইনের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডেফিনেটলি এটি একটি কালো আইন। এই আইনটা করে তাদের (সরকার) যে দুরভিসন্ধি, এটাকে লিগালাইজ করছে। দুরভিসন্ধিটা হচ্ছে, তারা তো অর্থনীতিকে একেবারে ব্যাংকরাপট করে ফেলেছে। গত কয়েক দিনের পত্রপত্রিকাগুলোতে আমরা দেখতে পাব যে ব্যাংকের খাত থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা। পত্রপত্রিকায় যা বেরিয়েছে, তাতে করে অর্থনীতির নেতিবাচক চিত্র ছাড়া ইতিবাচক চিত্র কোথাও দেখা যায়নি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই আইন থেকে এটাই প্রমাণিত হলো, সরকার সবখান থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেছে। এটা দুর্নীতির একটা অংশ বলতে পারেন। কারণ, এই অর্থ ব্যবহার করবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে, মেগা প্রজেক্টের ক্ষেত্রে, যেখানে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভোট তো তারা চুরি করে নিয়ে গেছে। ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ইভিএম দিয়ে। এর প্রমাণ আমরা একেবারে মেশিন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি।’

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘ভোটের গণনার ফলাফল দিতে লাগল আট ঘণ্টা। অথচ নির্বাচন কমিশন তার পরিপত্রে বলেছে এক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল হয়ে যাওয়ার কথা।

পরিপত্রে বলা আছে, সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ফলাফল দেওয়ার কথা। যেহেতু মেলাতে পারেনি, বহু জায়গায় গরমিল রয়েছে, সে জন্য আট ঘণ্টা সময় নিয়ে ফলাফল বিকৃত করেছে।’