নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে মানুষের ঢল

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে মানুষের ঢল

কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। সমাবেশের কারণে নয়া পল্টনের সামনের সড়কের একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। অপর পাশের যান চলাচলও সীমিত হয়ে যায়। যানচলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সমাবেশ মঞ্চ থেকে দলের দায়িত্বশীল নেতারা বারবার কর্মী সমর্থকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সমাবেশ ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো সমাবেশস্থলের আশপাশে।

দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফ্যাস্টুন নিয়ে জড়ো হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা নয়াপল্টন। ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘আমার মা জেলে কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই’, ‘জেলে নিলে আমায় নে, আমার মাকে মুক্তি দে’ এ ধরনের স্লোগান দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকা প্রকম্পিত হতে থাকে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থানের ফলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকালে সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

এর আগে তিনটি ট্রাক পাশাপাশি রেখে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়। শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা নজরুল ইসলামের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হােসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।