লুটপাট করতে আরও ৩ ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছে সরকার: রিজভী

লুটপাট করতে আরও ৩ ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছে সরকার: রিজভী

লুটপাট করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আরও তিন ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, চারদিকে লুটপাটের মহামারী চলছে। সরকারের লোকজন যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে জনগণের অর্থসম্পদ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লুটপাটের বড় খাত কেবল শেয়ারবাজারে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যাংকগুলো একটির পর একটি দেউলিয়া করার পর এখন জনগণের পকেট কাটতে সরকার একটির পর একটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দিচ্ছে। ব্যাংকে ব্যাংকে সয়লাব এখন দেশ।

‘রোববারও আওয়ামী লীগের এক নেতার নামে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল নামে একটি ব্যাংকের। এই ব্যাংকগুলো করা হচ্ছে জনগণের পকেট কাটার জন্য।’

অর্থসম্পদ গচ্ছিত রাখার ব্যাংক এখন রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হচ্ছে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।

তিনি বলেন, নতুন করে আইন বানানো হচ্ছে- কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে আমানতকারীর যত আমানতই থাকুক না কেন, মাত্র এক লাখ টাকা বীমার টাকা দেয়া হবে।

‘কী ভয়ঙ্কর অবস্থা! এটা তো রীতিমতো রাক্ষসরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে দেশকে। জনগণের মধ্যে এখন এমন ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, নতুন ও সন্দেহজনক ব্যাংক থেকে তারা আমানত তুলে ফেলতে শুরু করেছেন।’

রিজভী বলেন, এ বছর বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অথচ অর্থবছরের ছয় মাসের মধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে ৫১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা।

‘অর্থাৎ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা থেকে ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়ে ফেলেছে সরকার। বাকি ৬ মাসে কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়।’

তিনি আরও বলেন, ১০ বছরে ব্যাংকের কাছে সরকারের নিট ঋণ প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। এই টাকা আর পরিশোধ করবে না সরকার।

রিজভী বলেন, জনগণের টাকা আমানত তুলে সেই অর্থ থেকে ব্যাংকের মালিকরা ঋণ হিসাবে টাকা নিয়ে আর শোধ করেন না, অথবা খেলাপি ঋণ করে মেরে দেয় টাকা। এরূপ দুই লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে বসে আছে ব্যাংকের পরিচালকরা।

তিনি আরও বলেন, এক লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের হিসাব সংসদে দিলেও বাস্তবে দ্বিগুণ। এর ওপর নতুন করে লুটপাট করতে আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে একটি দেয়া হয়ে গেছে। পাশাপাশি চারটি ব্যাংককে পুঁজিবাজারে নামানো হচ্ছে নতুন করে জনগণের পকেট কাটতে।

এমজে/