ভারতকে বাদ দিয়ে মুজিববর্ষের উৎসব করা যায় না: ওবায়দুল কাদের

ভারতকে বাদ দিয়ে মুজিববর্ষের উৎসব করা যায় না: ওবায়দুল কাদের

ভারতের সঙ্গে ১৯৭১ সালের রক্তের সম্পর্কের বন্ধুত্বকে বিসর্জন দিতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশটির সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। মুজিববর্ষের উৎসব ভারতকে বাদ দিয়ে করা যায় না।’

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দিল্লিতে অভ্যন্তরীণ সংকট চলছে। পাশের ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুনের আঁচ প্রতিবেশীর ঘরেও আসে। দিল্লির সংকট-রক্তপাত আর না বাড়িয়ে, দ্রুত এর সমাধান করতে আমরা আহ্বান জানাই। কিন্তু এর জন্য ১৯৭১ সালের রক্তের সম্পর্কের বন্ধুত্বকে বিসর্জন দিতে পারি না। মুজিববর্ষে মুজিব উৎসব পালিত হবে। এই উৎসবে ভারতকে আমন্ত্রণ না জানালে তা হবে অকৃতজ্ঞতা; অবমাননা হবে বন্ধুত্বের প্রতি। কারণ, স্বাধীনতার সময় বিদেশি সাহায্য সহানুভূতি, আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে ভারত। অন্য কোনও দেশ এমন করে পাশে ছিল না। দুঃসময়ের বন্ধুদের বাদ দিয়ে মুজিববর্ষ আমরা পালন করতে পারি না।’

বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য মেনে নেওয়ার আহ্বান
চব্বিশ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে বর্ধিত মূল্য মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করার জন্য বিদ্যুতের দাম পাঁচ থেকে আট টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এরপরও সরকারকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি দিতে হবে। একশ’ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য সাময়িক একটু কষ্ট হবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য সাময়িক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটু মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। আমি আশা করি ঢাকাবাসী এটা মেনে নেবেন। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হবে না, সরবরাহ ২৪ ঘণ্টা চলবে।’

শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সংগঠনের নেতারা।

সভা শেষে শহীদ সেলিম ও দেলোয়ারের জন্য দোয়া, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।