বিএনপি নির্বাচনে না এলে করার কিছু নেই: শেখ হাসিনা

বিএনপি নির্বাচনে না এলে করার কিছু নেই: শেখ হাসিনা

ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, এবারও সময় মতো নির্বাচন হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিএনপি আসুক না আসুক নির্বাচন সময় মতো হবে, কেউ আটকাতে পারবে না। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আমাদের কিছু করার নেই। নির্বাচন করা না করা দলীয় সিদ্ধান্ত।

সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্প্রতি ভ্যাটিকান সিটি ও ইতালি সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।

বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিএনপির কাছের লোকেরাই মামলা দিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার রায় দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সরকারের কিছু করার নেই।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রশ্নফাঁসে কে জড়িত, তার নাম বলুন। মন্ত্রী কি নিজে প্রশ্ন ফাঁস করতে গেছে, না কি সচিব গেছে? মন্ত্রী আর সচিব গিয়ে তো প্রশ্নফাঁস করেনি, তাদের কেন সরে যেতে হবে, যারা করেছে তাদের ধরিয়ে দেন, ব্যবস্থা নেব।

শেখ হাসিনা করেন, পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন দেয়, এটা তো জানা কথা। এখন সবার হাতে ফোন, কেউ ছবি তুলে দিতে পারে। ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে আপনি কি করবেন? আর আমাদের এখানে এত বেশি ট্যালেন্টেড কে আছে, আধা ঘণ্টা আগে, ২০ মিনিট আগে ওই প্রশ্ন অনুযায়ী বই খুলে উত্তর মুখস্থ করে খাতায় লিখবে, এত ট্যালেন্টেড কে আছে?

পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠকে আমি বলেছি, রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যটন স্পট কক্সবাজারের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই তাদের ভাসান চরে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কাজ সম্পন্ন করার জন্য সহায়তার কথাও বলেছি।

লিখিত বক্তব্যে জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) কার্যক্রম এবং গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় অংশগ্রহণের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ভাষার মাসে বাহান্নোর ভাষাশহীদদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

৩ ফেব্রুয়ারি ইতালির রোমে তিনি ইফাদের গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম বার্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুয়াংবোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী এ সফরে যান। এছাড়া, পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী হলি সি হিসেবে পরিচিত ভ্যাটিকান সিটি সফর করেন। সেখানে তিনি পোপ এবং ভ্যাটিকান সিটির সেক্রেটারি স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ইফাদ গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুয়াংবো এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকালে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬টি জেলার দুঃস্থ গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদের মধ্যে ৯২ দশমিক ০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি সই হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮২০ঘ.)