দুই সপ্তাহেও পাপিয়া নিয়ে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে

দুই সপ্তাহেও পাপিয়া নিয়ে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে

দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ বলছে, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া সম্পর্কিত মামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাপিয়াসহ গ্রেফতার অন্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এ দিকে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে র্যাব কর্তৃক শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ, স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি (পাপিয়া) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ও উৎস উল্লেখ করে বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নামে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও সম্মানহানিকর সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে; যা জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে এবং এতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন অভিযানে আটক ব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নাম জড়িয়ে অযথা সম্মানহানিকর, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ প্রচার করা আইনত দণ্ডণীয় অপরাধ। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ও উৎস উল্লেখ করে বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নামে সম্মানহানিকর, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ পরিবেশন হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

অন্য দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পাপিয়া সম্পর্কিত মামলার তদন্ত সম্পর্কে বলা হয়, (যা হুবহু তুলে ধরা হলো) ডিএমপির বিমানবন্দর থানার মামলা নং-২০, তারিখ ২৩/০২/২০২০ খ্রি., ধারা -১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন-২৫-অ(ই) এর ১ (অ)/২৫-উ, ডিএমপির শেরে বাংলা থানার মামলা নং- ২৬, তারিখ-২৪/০২/২০২০ খ্রিঃ, ধারা- ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন-১৯-এ এবং ডিএমপির শেরে বাংলা থানার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৪/০২/২০২০ খ্রি., ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন-২৫ বি এর ১(বি) সংক্রান্তে শামিমা নূর পাপিয়া, তার স্বামী সুমন, সহযোগী সাব্বির খন্দকার এবং তাইবা নূরদেরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বর্ণিত মামলা সম্পর্কে অভিযুক্তদেরকে ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সমগ্র বিষয় এখনো তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি। কিন্তু উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম ও পরিচয় প্রকাশ ও প্রচার করছে। যার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে কোনো সামঞ্জস্য নেই। তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরি হয়; যার ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পেশাদারি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি রোববার গোপনে দেশত্যাগের সময় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সেক্রেটারি শামিমা নূর পাপিয়াকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেনÑ পাপিয়ার স্বামী ও তার অবৈধ আয়ের হিসাবরক্ষক মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়্যিবা ও সাব্বির খন্দকার। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার এবং অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাপিয়া গ্রেফতার হওয়ার পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে তার অন্ধকার জগতের চাঞ্চল্যকর কাহিনী। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট এবং ফার্মগেটের ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডের রওশনস ডমিনো রিলিভো নামের বিলাসবহুল ভবনে তাদের দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র, বিদেশী মদসহ অনেক অবৈধ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি জাল টাকা উদ্ধার, অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় পাপিয়ার ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার স্বামী মফিজুর রহমানেরও ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা করা হয়। এ ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামি পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবাকেও রিমান্ডে নেয়া হয়। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জানা গেছে, পাপিয়া গত তিন মাসে শুধু ওয়েস্টিন হোটেলে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন। তার নামে ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সবসময় বুকড থাকত। হোটেলে প্রতিদিন শুধু বারের খরচ বাবদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করতেন। দীর্ঘ দিন ধরেই এসব করে আসছিলেন পাপিয়া। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে এই নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের দিন বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. ক. শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, রাজধানীর গুলশানের অভিজাত হোটেল ওয়েস্টিনে প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে সবসময় বুকড করে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন শামিমা নূর পাপিয়া। যিনি হোটেলটির বারে বিল বাবদ প্রতিদিন পরিশোধ করতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সেখানে থাকা তার সাত নারীর কথা জানাতে পেরেছে র্যাব। যাদের তিনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতেন। তিনি জানান, শামিমা নূর পাপিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নরসিংদী এলাকায় অসহায় নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সহযোগিতার নামে তাদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতেন। বছরের বেশির ভাগ সময় তিনি নরসিংদী ও রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে তার ও তার স্বামীর ব্যবসায়িক অংশীদারদের অনৈতিক কাজে নারী সবরবরাহ করতেন। নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী আছে। এ ছাড়াও তার স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হয়েছেন। র্যাবের হাতে আটক হওয়া সাব্বির খন্দকার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এবং তার দূরসম্পর্কের ভাই। তিনি তার সাথে সব সময় থাকতেন। পাশাপাশি তার সব অবৈধ ব্যবসায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং অর্থপাচার ও রাজস্ব ফাঁকি দিতে সহযোগিতা করতেন এই সাব্বির।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা বেশির ভাগ সময় রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করেছে। সবশেষ গত বছরের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা বিভিন্ন মেয়াদে ৫৯ দিন হোটেল ওয়েস্টিনের কয়েকটি বিলাসবহুল রুমে অবস্থান করে; যার আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট ৮১,৪২,৮৮৮.৩১ টাকা নগদ পরিশোধ করে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রকৃত উৎস র্যাবকে জানাতে পারেনি তারা।

জানা গেছে, পাপিয়ার স্বামী সুমন চৌধুরী বেশির ভাগ সময় থাইল্যান্ডে অবস্থান করলেও গত থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অবস্থান করেন। ওই রাতে তার কক্ষেও চার-পাঁচজন সুন্দরী নারী ছিল বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। পাপিয়ার সব কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশীদার তার স্বামী সুমন। একসময় নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন সুমন। পরে ছিলেন নরসিংদীর মরহুম পৌর মেয়র লোকমানের বডিগার্ড। র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, তার বার্ষিক আয় ১৯ লাখ টাকা হলেও পাপিয়া গত তিন মাসে শুধু একটি পাঁচতারকা হোটেলে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করেছেন! এ ছাড়া তার নামে একটি হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সব সময় বুকড থাকত। ওই হোটেলেই তার নিয়ন্ত্রণে ছিল সাতটি মেয়ে। জানা গেছে, হোটেলটির বারে পাপিয়া প্রতিদিন বিল দিতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

র্যাব জানায়, পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী নরসিংদীতে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, জমির দালালি, সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স প্রদান, গ্যাস লাইন সংযোগ প্রভৃতির নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশের এসআই ও বংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা, একটি সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স করে দেয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকাসহ ঢাকা ও নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। শুধু তা-ই নয়, ওই এলাকায় ‘কিউ এন্ড সি’ নামে একটি ক্যাডার বাহিনী আছে তাদের। যাদের মাধ্যমে তারা নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির, মাসোহারা আদায়, অস্ত্র ও মাদক কারবারসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সব ধরনের অন্যায় কাজের সাথে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

র্যাব জানায়, পাপিয়া দম্পতির আয়ের অরেকটি উৎস হচ্ছে নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো। তারা ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে কম বয়সী মেয়েদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। যাদের বেশির ভাগই নরসিংদী এলাকা থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এসব অনৈতিক কাজে কেউ অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
গ্রেফতার মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, দেশে স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে তার বারের ব্যবসা রয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ অস্ত্র-মাদক কারবার ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন। তিনি স্ত্রীর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেন। নরসিংদীর ‘কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামের প্রতিষ্ঠানটির আড়ালে চলে মাদক কারবার। জেলা শহরের বাইরে গেলে ক্যাডার বাহিনী তাকে বিশাল গাড়িবহরের মাধ্যমে মহড়া দিয়ে থাকে।

পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়্যিবা ও সাব্বির খন্দকার জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা সব সময় পাপিয়ার সাথে থাকতেন। তার ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব ও রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। পাশাপাশি তার সব অবৈধ ব্যবসা, অর্থপাচার ও রাজস্ব ফাঁকি দিতে সহযোগিতা করতেন।

এমজে/