মুজিববর্ষের ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা আসছেন না। যার কারণে আয়োজন সীমিত করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল অবদুল নাসের চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদেশি অতিথিদের আসার কথা ছিল। যেহেতু বিষয়টি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, তাই বিদেশি অতিথিরাও পরেই আসবেন। যতটা সম্ভব জনসমাগম পরিহার করে উদযাপন চলবে দেশব্যাপী। অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এর আগে পররাষ্ট্রমী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে অনুষ্ঠানসমূহ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে বছরব্যাপি মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করলে এখানে হাজার হাজার লোক আসবে। তাদের কারও করোনা থাকতে পারে। আমরা কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করে পুরো বিষয়টি রিভিউ করা হয়েছে। ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে সীমিত পরিসরে জন্মশতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
আগামী ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর (মুজিববর্ষ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভাসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথির।
এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের থাকার বিষয়েও আলোচনা চলছিল।
