আওয়ামী লীগ নেতার ৩৩ পৃষ্ঠার সম্পদের হিসাব!

আওয়ামী লীগ নেতার ৩৩ পৃষ্ঠার সম্পদের হিসাব!

অবশেষে ৩৩ পৃষ্ঠার সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে জমা দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল।

জালিয়াতি করে খাস জমি লিজ নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের তিন মামলার তদন্তের মধ্যেই আউয়ালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।

গত সপ্তাহে দুর্নীতির মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লায়লা পারভীনকে জামিন দেয়া নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। এসব মামলার একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।

আউয়ালের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে বলা হয়, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজ নিয়ে স্ত্রীর মালিকানা দেখিয়ে সেখানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন।

এছাড়া ভবনটি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। একইভাবে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

 

আউয়ালের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করা হয় পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া এলাকার রাজারপুকুর নামে পরিচিত জায়গায় ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি ঘিরে দেয়াল নির্মাণ করে দখলে রাখার অভিযোগে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবরকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবালকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন কমিশন।

দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল ইতোমধ্যে তার সম্পদের বিবরণ কমিশনে দাখিল করেছেন। এই সম্পদ বিবরণী বিধি মোতাবেক যাচাই ও অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

তারই প্রেক্ষিতে নিজের সম্পদের হিসাব জমা দেন আউয়াল।

এমজে/