শুধু গলাবাজী করে জনগণের ওপর ছড়ি ঘোরানো যাবে না: রিজভী আহমেদ

শুধু গলাবাজী করে জনগণের ওপর ছড়ি ঘোরানো যাবে না: রিজভী আহমেদ

শুধু গলাবাজী করে জনগণের ওপর ছড়ি ঘোরানো যাবে না বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রবিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যারয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সারা দেশ এখন আতঙ্কের এক মৃত্যুপুরী। বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতন তার অপরিহার্য অনুসঙ্গ হিসেবে দুর্বহ হয়ে উঠেছে প্রবল অভাব-অনটন আর ক্ষুধা। পাঁচ কোটি দরিদ্রের সঙ্গে আরও অন্তত: আড়াই থেকে তিন কোটি মানুষ যোগ হতে পারে, তছনছ অর্থনীতি, ব্যবসা-বানিজ্য, থমকে গেছে সরকারের তারস্বরে উন্নয়নের আওয়াজ।

তিনি আরো বলেন, ত্রাণ বিতরণে সারাদেশে চরম অনিয়ম চলছে। এই সার্বজনীন দুঃসময়ের কালে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে সহমর্মিতা, মানবিকতা ও সংবেদনা যেন লুপ্ত হয়ে তার বদলে সর্বস্তরে ক্ষমতার দম্ভ, লোভ, ত্রাণ ও চিকিৎসা খাতে চুরি-লুটপাট এবং অসহায় মানুষকে অবজ্ঞার স্বভাব আরো তীব্রতা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পাশাপাশি সরকারি কোন কোন অসৎ কর্মকর্তাদের চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় ও চাল কেলেংকারীতে জড়িত হওয়ার খবর দুঃখজনক।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তার জন্য অনেকে ছুটে বেড়ালেও পাচ্ছেন না। ফলে অসংখ্য কর্মহীন দরিদ্র মানুষ নিত্যদিন উপোস থাকছে। বিদ্যমান মানবিক বিপর্যয়েও ত্রাণ চুরি, আত্মসাৎ এবং লুন্ঠন যেন নিরেটভাবে গাঁথা। এসব অপকর্ম নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

ভয়াবহ সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য অনিবার্য। কিন্তু সরকার জাতীয় ঐক্যতো প্রত্যাখ্যান করেছেই, সেই সাথে উপহাসও করছে। তারা জানে জাতীয় ঐক্য হলে একপেশে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও পরাক্রমশালী একদলীয় ক্ষমতার ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হবে। রাষ্ট্রীয় অরাজকতাকে প্রণোদনা জোগাতে পারবে না। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেপরোয়া লুটপাট করতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ও ভয়ংকর লুন্ঠনে দেশে মহাশক্তিধর দুর্বৃত্ত চক্র গড়ে উঠেছে এবং তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারকে।