প্রধানমন্ত্রীর টাকা কার কাছে যাচ্ছে?

প্রধানমন্ত্রীর টাকা কার কাছে যাচ্ছে? বিএনপির সিনিয়র যুগ্মৎ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

সরকারের দুর্নীতিবাজ চক্র জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ লুটপাট করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর টাকা কার কাছে যাচ্ছে?’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার দক্ষিণখান থানা যুবদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

এ সময় রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সরকারিভাবে যে ত্রাণ দিচ্ছে তা সরকার তার বাড়ি থেকে এনে দিচ্ছেন না। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ। প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ মানুষকে ২৫ শ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। কিন্তু দেখা গেছে ২০০ লোকের বিপরীতে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া। ওই লোকটি আওয়ামী লীগের। তিনি ৫০০ টাকা করে রেখে ২ হাজার টাকা দিচ্ছেন। আবার এমন একটি বাড়ির মালিকের নাম দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারি চাকরি করেন, তার ছেলে বিদেশে পড়ে। তাহলে বুঝতে পারেন সরকার কাদের সহযোগিতা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর টাকা কার কাছে যাচ্ছে?’

তিনি আরো বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মেম্বাররা সরকারি ত্রাণ লুটপাট করছে আত্মসাৎ করছে। দুর্যোগ মুহূর্ত ও দুর্ভিক্ষের মধ্যে সরকার তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে চুরি করার। এই কাজটি সরকার করছে। আর আমাদের লোকেরা গুম, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার উপেক্ষা করেও নিজেদের পকেটের টাকায় অসহায়, কর্মহীন মানুষকে সহযোগিতা করছে। এটাই হলো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য। আমাদের নীতি আদর্শ জনগণের কল্যাণ করা। আর আওয়ামী লীগের আদর্শ অন্যদিকে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকার উন্নয়নে ফ্লাইওভার দেখান। আর মানুষ করোনা টেস্ট করতে পারে না। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যে সরকার স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল তৈরি না করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য সেলাই ঘর তৈরি করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ রাস্তাঘাটেই মরে পড়ে থাকবে।’

ত্রান বিতরণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিনখান থানা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাগর, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আলী, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সভাপতি জুলহাস মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মনির ভূইয়া, দক্ষিনখান থানা যুবদলের সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম মিঠু, বিমানবন্দর থানা যুবদলের সভাপতি মো. সবুজ প্রমুখ।