ঢাকা, ৩ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি আগামী দিনের নির্বাচনে জনগণের ভোটে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
শনিবার সকালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি ও জনগণকে দুর্বল করা যাবে না। সামনের দিনে ভোটের ফলাফল পাল্টানো যাবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে আগামী দিনে খালেদা জিয়াকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। এখন সুযোগ শুধু ভোট দেওয়ার। আর সেজন্য আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবি আদায় করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তাঁর স্বামীর নামে গঠিত ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন এটাও দেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ এ টাকা ব্যবহার বা ব্যাংক হিসেবে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি বাদীপক্ষ বেগম খালেদা জিয়া জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বলতেন কোনো কাজে তাঁর দুই কোটি টাকা লাগবে তাহলে বিএনপি অফিসের সামনে দু'টি বাক্স রাখলে এক ঘণ্টায় তার চেয়ে বেশি টাকা জমা হত। আসলে টাকা আত্মসাৎ কিছু নয়, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানিমূলক সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আমরা এক-এগারোতে শুনেছি বাক্স করে তিন কোটি টাকা আর চেকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এসবের ঘটনায় মামলা হয়েছে, অথচ সে সব মামলায় রাজনৈতিক বিবেচনায় বাতিল করা হয়েছে। আবার কোনোটা নিজেদের পছন্দের বিচারক নিয়োগ করে খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলো চলমান রেখেছে। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও পদে বহাল থাকেন। আর বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এমনকি এখন পর্যন্ত তাঁর জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সাভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/একে/১২০৫ঘ.)
