খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : খন্দকার মোশাররফ

খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা, ৩ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে সরকার আগামী নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির এই নেতা তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে সরকার আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু তারা আধাপথও যেতে পারবে না। জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন মেনে নিবে না।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার নিজেদের ডিজিটালের কথা বলে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সার্টিফাইট কপি পাঁচদিনের মধ্যে পাওয়ার কথা থাকলেও পেতে লেগেছে নয়দিন। হাইকোর্ট নথি তলব করার পর ১০ দিন কেটে গেছে। কিন্তু নথি এখনো এলো না। ডিজিটাল হলে তো এক চাপেই নথি চলে আসত।

‘নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। এটুকু পথ নথি আসতে কত সময় লাগে? এতেই বুঝা যায়, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। মানববন্ধন, অনশন, কালো পতাকা প্রদর্শনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোও আমাদের করতে দিচ্ছে না। সভা-সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা ১২ তারিখ সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সমাবেশের অনুমতি দিবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আওয়ামী লীগ ৭ মার্চ জনসভা করবে। এরপর এরশাদ করবে। আমরা ১২ তারিখ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। আমাদের অনুমতি দিন। অন্যথায় বুঝব, সরকার এক দেশে দুই আইন চালু করেছে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়াই নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সমাবেশে স্মরণকালের জমায়েত হবে।

২০১৪ সালের মতো পাতানো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ এখন আর আওয়ামী লীগের কথায় বিশ্বাস করে না। তারা বলেছিল, এটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন। কিন্তু পরে তারা কথা রাখেনি। বিদেশি বন্ধুরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিদেশিদের বারবার ধোকা দেওয়া যাবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেছারুল হক।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯১৫ঘ.)