আর কত ভয় দেখাবেন: রিজভী

আর কত ভয় দেখাবেন: রিজভী

বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ থেকে বিরত রাখা যাবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসংক্রান্ত সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রতিবাদে রাজধানীতে এক মানববন্ধনে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।

রিজভী বলেন, ‘আর কত ভয় দেখাবেন। আর কত বিরোধী দল, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে হুমকি দেখাবেন। এভাবে আর কতদিন?’

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই- জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, জনগণ রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের কর্তব্য-কর্ম থেকে একচুলও বিচ্যুত হবে না।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলে দামবৃদ্ধিসংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের ভৌতিক বিল আসছে। অসহায় মধ্যবিত্ত মানুষ হাহাকার করছেন। বলা হচ্ছে- চাহিদার চাইতে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে।

‘এই যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে, এর বেশিরভাগ রেন্টাল-কুইকরেন্টালের। অর্থাৎ এসব কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হচ্ছে সরকারকে এবং বেশি দামে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে সরকারকে’ অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, এই টাকা কে দিচ্ছে? এই টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়ে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তা হলে কীসের উন্নয়ন? শুধু জনগণের ওপর যাঁতাকল।

রিজভী বলেন, মানিকগঞ্জে খাবার না পেয়ে বাচ্চা বিক্রি করছেন মা। এই হচ্ছে পরিস্থিতি, এটি চলতে পারে না।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর বিএনপি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রিজভী। তার বক্তৃতার আগ মুহূর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে অনুমতি ছাড়া মানববন্ধন কেন করা হচ্ছে জানতে চান এবং বাধার সৃষ্টি করেন।

পরে কয়েক মিনিটের বক্তব্যে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ দিতে গিয়েছি, ত্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের ছায়া যখন নেমেছে, এর পরেও চলছে এ পরিস্থিতি।’

তিনি বলেন, কথা বলা যাবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ করা যাবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে- এমন কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তুলে ধরে দলটির মুখপাত্র বলেন, আমরা জানি আমাদের বিরুদ্ধে আঘাত এসেছে, বছরের বছরের পর কারাগারে থেকেছি। কিন্তু তার পরও আমাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করা যায়নি।

ঢাকা উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম নকি ও দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক।

এমজে/