আ’লীগের চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে: রিজভী

আ’লীগের চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে: রিজভী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, সবক্ষেত্রে ব্যর্থতা আর সর্বগ্রাসী দুর্নীতি-লুটপাটে বেসামাল মিডনাইট সরকার দেশ-বিদেশে বিতর্কিত হয়ে পড়ায় অস্থির হয়ে পড়েছে। তাদের চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, নিজের বাসার ড্রয়িংরুমে বসে প্রতিদিনের মতো গতকালও ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বিএনপি এখন মানসিকভাবে বিপন্ন। বিএনপি নিজেরাই জনরোষের ভয়ে আতঙ্কে আছে। তারা জনগণকে সাহস না দিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। করোনার বেপরোয়া চালকের মতো তারা রাজনীতিতেও বেপরোয়া আচরণ করছে।’

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আপনার এই কথার জবাব দিয়ে তার গুরুত্ব বাড়ানোর দরকার আছে বলে বিএনপি মনে করে না। নিজেদের আয়নায় এখন কেবল জনগণের দল বিএনপিকে কল্পনা করছেন তারা। কাদের সাহেবের কথাটা হবে ‘আওয়ামীলীগ জনরোষের আতঙ্কে আছে।’ কিন্তু তিনি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ফেলেছেন কথাটা। নিজেদের অবস্থাটা এখন অন্যের ভেতরে দেখতে চাচ্ছেন। অনুভব বা অনুমান করছেন যে, তাদের কী ভয়াবহ অবস্থা।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বিএনপি আতঙ্কিত হবে কেন? বিএনপি কি চাল, তেল, ত্রাণ চুরি করেছে, করোনার টেস্ট কিট দুর্নীতি, ব্যাংক লোপাট, রাজকোষ চুরি, শেয়ার বাজার লুণ্ঠন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতির কাজে লিপ্ত ছিল কি? দেশব্যাপী চুরি ও ডাকাতি ও লুটের সঙ্গে আপনাদের জড়িত থাকাটা শুধু দেশীয় গণমাধ্যম নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচার হচ্ছে। সুতরাং জনরোষের ভয়ঙ্কর আতঙ্কের মধ্যে আপনারা এখন প্রলাপ বকছেন।

‘সারাক্ষণ আতঙ্কে কাটে আপনাদের দিন-রাত। চারদিকে আপনাদের অপকর্মের স্তুপ এতো বিকট আকার ধারণ করেছে যে, বিএনপিকে গালমন্দ করা ছাড়া এই মুহূর্তে আপনাদের স্টকে আর কিছু নেই। তাই প্রলাপ বকেন আর বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করেন।’

রিজভী বলেন, সারা বিশ্বে এখন আলোচিত দুর্নীতিবাজ সরকার হলো ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী লীগ। যত অপকর্ম করছে আওয়ামী লীগ, আর জনরোষের ভয় দেখাচ্ছেন বিএনপিকে। কি হাস্যকর কথা! যদি সৎ সাহস থাকে তবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তখন দেখা যাবে কারা জনরোষে পড়ে।

এমজে/