‘ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না’

‘ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না’

এদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক, তাই ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না। এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রবিবার জাতীয় মৎস সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে খিলগাঁওয়ে বালু নদীর মোহনায় উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস পোনা অবমুক্তকরণের পর তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আছি। তারা মানুষের কল্যাণের জন্য, এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। তাই আমাদেরকে ধ্বংস করতে পারবে না। পুলিশ দিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, আমাদেরকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আমরা জেগে উঠবো কারণ আমরা মানুষের পক্ষে, জনগণের পক্ষে, জনগণের আর্থিক উন্নয়নের পক্ষে আছি। তাই যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হোক এই জাতীয়তাবাদী দলকে ধ্বংস করা যাবে না। এদের সম্পর্ক মাটি ও মানুষের সঙ্গে।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য যে কাজগুলো দরকার সেগুলো করেছেন। বর্ষা ও শুকনো মওসুমে যেনো খালে-বিলে পানি থাকে এবং সেগুলোতে যেনো মৎস চাষ করা যায় এজন্য কিলিমিটারের পর কিলোমিটার খাল খনন করেছেন। তিনি নিজে কোদাল ধরেছেন। এভাবেই জিয়াউর রহমান দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন করেছিলেন এজন্য আমরা এক মুঠো হলেও ডালে মাছে ভাতে খেতে পারি।

তিনি আরো বলেন, তার হাত ধরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, এই যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধি এগুলো যারা পছন্দ করেন না, তারাই ১৯৮১ সালের ৩০শে মে গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে শহীদ হন। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতিকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে। তার যে উন্নয়নমূলক কাজ তারা এগুলো নানাভাবে ব্যাহত করার চেষ্টা করেন। জিয়াউর রহমান যা রেখে গেছেন, দিয়ে গেছেন তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ এগিয়েছে। আজকে যারা সরকার তারা রাতের বেলা ভোট করে, তারা মানুষের স্বাস্থ্যের নামে হাসপাতালে ভুয়া সার্টিফিকেট বিতরণ করে, জালিয়াত সার্টিফিকেট বিতরণ করে, এই পরিস্থিতির মধ্যে দেশ চলছে।

রিজভী আহমেদ বলেন, আজকে অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ে সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে, তাদের হাসপাতালগুলো জাল, ভূয়া সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এসব হাসপাতালের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার, সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন তারা একজন আরেকজনের ওপর দোষারোপ করছে কেউ কাঁধে নিচ্ছে না। যারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভোট করে ক্ষমতায় থাকে তারা জালিয়াতির সার্টিফিকেট দিবে, মানুষের জীবনকে বাঁচানোর জন্য তারা কোনো উদ্যোগ নেবে না এটাই স্বাভাবিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎসজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, হাবিবুল হক হাবিব, কবির উদ্দিন মাস্টার, জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোর্শেদ আলম, মৎসজীবী দলের সদস্য আমির হোসেন, হেমায়েত উদ্দিন হিমু, শাহিন উদ্দিন স্বপন চৌধুরী, তানভীর, রজব আলী, সুমন মুন্সি, কে এম সোহেল, লিয়াকত, স্বপন, তবারক ফজলে কবির সোহেল, বাকি বিল্লাহ প্রমুখ।