ভিপি নুরের নতুন দল এ বছরই, অংশ নেবেন ঢাকার উপনির্বাচনে

ভিপি নুরের নতুন দল এ বছরই, অংশ নেবেন ঢাকার উপনির্বাচনে

শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে। সেই আন্দোলনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বাতিলও হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। তৃতীয় পর্যায়ে এবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। চলতি বছরই দলটির নাম ঘোষণার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তার আগে ঢাকার দুটি আসনের যেকোনো একটির উপনির্বাচনেও অংশ নিতে চান তিনি।

ছাত্র অধিকার আদায়ে নানা পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক আলোচিত পটুয়াখালীর সন্তান সদ্যোবিদায়ি ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন তিনি। এরই মধ্যে দলের সহযোগী উইং ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে পেশাজীবী পরিষদ গঠনের কাজ।

ভিপি নুর ও তাঁর সহযোগীরা জানান, চলতি বছরের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে। ঢাকায় দুটি আসনের উপনির্বাচনের পরই ঘোষণা করা হবে নতুন দলের নাম। দলের স্লোগান হবে ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’। এখনো চূড়ান্ত করা না গেলেও দলটির নামের সঙ্গে ‘অধিকার’ শব্দটি যুক্ত থাকছে বলে জানান তাঁরা।

আসন্ন ঢাকা-১৮ ও ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে যেকোনো একটি আসনে ভিপি নুর এমপি পদে লড়বেন বলে জানা গেছে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার এই দুই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে আজ রবিবার অথবা আগামীকাল সোমবার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে মনোনয়ন ফর্ম বিতরণ শুরু করেছে।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়তে চাই আমি। তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে নুর বলেন, ‘এ বছরের মধ্যেই দল গঠন করব। প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমানে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গড়ার কাজ করছি। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চিন্তাভাবনাকে আমলে নিয়ে তার প্রতিফলন ঘটিয়ে দলের ইশতেহার তৈরি করা হবে। জনগণের মতামত জানতে মতবিনিময় করা হবে। সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এই নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকায় উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নুর বলেন, ‘এখনো তফসিল ঘোষণা হয়নি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। রাজধানী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মানুষের মধ্যে অনাস্থা বিরাজ করছে। মানুষ আর ভোট দিতে যায় না। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল করতে চাইলে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট দিতে হবে। ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।’