ঢাকা, ৯ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা নির্বাচনের কথা ভাবছেন, তারা স্বপ্ন দেখছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির একাংশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গতকাল আমাদের কর্মসূচি চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এক ছাত্রনেতাকে বিবস্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সে (গ্রেফতার হওয়া ছাত্রনেতা) রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমি তাকে রক্ষা করতে পারিনি। সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধংস করছে। রাজনীতিকে ধংস করা হয়েছে।’
মির্জা আলমগীর আরও বলেন, ‘দেশনেত্রীর সাজা হয়েছে, জামিন হওয়ার কথা। সেখানেও হস্তক্ষেপ। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তারেক রহমানকে যে বিচারক অব্যাহতি দিয়েছেন সেই বিচারক এখন দেশের বাইরে। তাহলে কোথায় গণতন্ত্র?’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনও সরকারের এজেন্ডা নিয়ে বসে আছে। এই নির্বাচন কমিশনকে গঠন করা হয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। নির্বাচনের আগে বলা হয়েছে এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। পরে আবার নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। এই সংবিধান কারা তৈরি করেছে? পৃথিবীর কোনও সংবিধানেরই একসঙ্গে এক তৃতীয়াংশের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম।’
বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের সভা করতে বাধা কেন? আমাদের প্রতিটি প্রোগ্রামই শান্তিপূর্ণ, প্রতিটিতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও বলছেন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। ক্ষমতায় থাকতে হলে সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কেএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
(জাস্ট নিউজ/জেআর/১১৫৫ঘ.)