খালেদা জিয়ার মামলার নথি হাইকোর্টে

খালেদা জিয়ার মামলার নথি হাইকোর্টে

নাটোর, ১১ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের নথি রবিবার দুপুরে বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।

ফলে এ মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ প্রদানের বিষয়টি সুগম হল। নথি না পৌঁছানোর কারণে রোববার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সোমবার আদেশ দেয়ার কথা জানান।

এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টিনের বাক্সে তালাবন্দি করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ৫৩৭৩ পৃষ্ঠার নথি পাঠানো হয়। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়।

এ ছাড়া ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটেবাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে আয়রন ঘাটতিতে ভুগছেন।

২২ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া জরিমানার আদেশও স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য রাখেন আদালত। আদেশে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি তলব করে ১৫ দিনের মধ্যে তা হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে আদালত বলেন, বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেবেন।

গত বৃহস্পতিবার ১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন। কিন্তু রবিবার সকালে নথি না পৌঁছায় জামিনের বিষয়ে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪১৫ঘ.)