ভাস্কর্যের বিষয়টা হ্যান্ডেল করছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

ভাস্কর্যের বিষয়টা হ্যান্ডেল করছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

ভাস্কর্য নিয়ে চলমান বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি, আমাদের সব ব্যাপারে মাথা গরম করলে চলবে না। বিষয়টা হ্যান্ডেল করছেন প্রধানমন্ত্রী। সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিকূল অনেক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তিনি এখানে এসেছেন। তিনি জানেন, কোন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়।’

আজ শনিবার সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর দোয়েল চত্বরে অবস্থিত জাতীয় তিন নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা সরাসরি কারও সঙ্গে কোনো সংঘাতে যাব না। আমরা শুধু যুক্তিতর্ক দিয়ে বলব, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। যারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা কি জানে না, সৌদি আরবসহ বিশ্বের সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে। সেখানে ভাস্কর্য যদি ইসলামবিরোধী না হয়, বাংলাদেশে কেন হবে!’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গণতন্ত্র আজকের অবস্থায় এসেছে। গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ এখনো পায়নি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াই হবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আজকের অঙ্গীকার। গণতন্ত্র দেশে আছে, এটি একটি বিকাশমান ধারা। গণতন্ত্র রাতারাতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের আচরণে কখনো মনে হয়নি তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে, এরা গণতন্ত্রের শত্রু। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রের বিকাশ চায় না। গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, এটির ভুলত্রুটি আছে। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে, এটি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করে না। যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরাজিত বা বিজয়ী কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি না। এ বার্তা সবার কাছে যাবে, বিদ্রোহ করলে শাস্তি আছে।’