তাপস দেলুকে দিয়ে এ নোংরামি করাচ্ছে: সাঈদ খোকন

তাপস দেলুকে দিয়ে এ নোংরামি করাচ্ছে: সাঈদ খোকন

রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে (ব্লক-২) দোকানের বৈধতা দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

মামলার বিষয়ে সাঈদ খোকন বলেন, সবাই বলে, বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, মামলার বাদী ও মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলুকে দিয়ে এ নোংরামি করাচ্ছে। এতে তার নিজের (তাপস) এবং দলের (আওয়ামী লীগের) ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সাঈদ খোকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম সুমনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে মামলার অভিযোগের বিষয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। এরপর আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। বিকেলে আদালত এ মামলার আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাহিদ ইসলাম চৌধুরী, মাসুদসহ আরো অনেকে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন এবং ওয়ালিদ।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- সাঈদ খোকন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে এবং অন্যান্য আসামিরা মিলে দোকান বরাদ্দের নামে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান বরাদ্দ দেন। কিন্তু বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় এসে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলেন। এতে অসহায় অনেক দোকান মালিকের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়। অনেক দোকানের মালিক গ্রাম থেকে জমিজমা বিক্রি করে দোকান বরাদ্দ নেন। বর্তমানে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।

বাদী দেলোয়ার হোসেন নিজেও ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।

এদিকে, গত ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট এলাকার ৯১১ দোকানের বরাদ্দ অবৈধ জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। একইদিন উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিকেরা। সেদিন সিটি করপোরেশনের বুলডোজার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর অবৈধ স্থাপনা ভাঙা শুরু করলে বিক্ষোভরত ব্যবসায়ীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের টিয়ার শেলও ছোড়েন।

এরপর ২৬ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে স্থায়ীভাবে বরাদ্দ চেয়ে দোকান মালিকরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন।