ওবায়দুল কাদের জনগণের কাছে নিজেকে হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছে : রিজভী

ওবায়দুল কাদের জনগণের কাছে নিজেকে হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইদানীং লক্ষ্য করছি আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ্ও মন্ত্রী বিশেষ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মনগড়া বক্তব্য দেয়াকেই নিজেদের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কারণে-অকারণে প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার জনগণের কাছে ওবায়দুল কাদেরকে একটি হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছে।

সোমবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গণভবনের চার দেয়ালে আটকে পড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবা প্রশাসনের পাহারায় টিকে থাকা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বুঝতেই পারছেন না যে তারা এখন গণদুশমনে পরিণত হয়েছেন। তাই অযথা বিএনপি'র বিরুদ্ধে বালখিল্যসুলভ বক্তব্য-মন্তব্য করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো কাজ নেই।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার একটি বক্তব্যের ব্যাপারে রিজভী বলেন, “গত বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার বটতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমপিরা নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক পালানোর দরজাও খুঁজে পাবে না’। আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র। আমরা আশা করি, আব্দুল কাদের মির্জার সাথে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা না খুঁজে ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজের আপন ছোট ভাইয়ের বক্তব্যটির গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।”

সম্প্রতি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের এসপি যেভাবে জনগণের প্রতি হুঙ্কার দিয়েছেন তাতে গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এটা পরিস্কার হয়েছে, এই সরকার শুধুমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনেরই কবর রচনা করতে গিয়ে তারা পুলিশকে বেআইনি কাজে উৎসাহ দিচ্ছে। স্রেফ কোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থেকে দুর্নীতি লুটপাট চালানোর সুযোগ নিতে নিজেদের আত্মমর্যাদাও বলি দিয়েছে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে প্রজাতন্ত্রের বেতনভোগী একজন কর্মচারী- এসপি দেশের নাগরিকদের প্রতি যে ধরণের শব্দ ব্যবহার করে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সরকারের উস্কানি রয়েছে। প্রশাসনের এই ধরণের রাজনৈতিক বক্তব্য নজিরবিহীন।

কর্মসূচি
বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনের পরেও জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কলঙ্কিত অধ্যায়কে ঘৃণার সাথে স্মরণ করার জন্য আগামীকাল ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবে।

সরকার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ায় আগমী ৭ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার সারাদেশে থানা পর্যায়ে বিএনপিসহ সকল অঙ্গ-সংগঠন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করবে।

নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের কারণে সকল দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২১ রোববার বিএনপি’র উদ্যোগে সারাদেশে পৌরসভা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে উক্ত কর্মসূচি ওই দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এমজে/