খোকন-তাপসের বক্তব্য সরকারের দুর্নীতির চিত্র: বিএনপি

খোকন-তাপসের বক্তব্য সরকারের দুর্নীতির চিত্র: বিএনপি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের কথায় বর্তমান সরকারের দুর্নীতির যে সামগ্রিক চিত্র সেটাই প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও আলোচনা আজকের সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযোগ গঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার সারা দেশে জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ-মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। এই মামলা ও অভিযোগ গঠনকে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা বলে জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির অভিযোগ, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্মরণ করে আগামীকাল সোমবার বেো ৩টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা করবে।

দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া এবং তা আমদানির বিষয়গুলো নিয়ে সরকার এখনো কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকার নির্দিষ্ট সময় ঠিক করতে পারেনি।

আমদানির বিষয়েও কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিষয়গুলো অস্পষ্ট। ভ্যাকসিন মানুষের জীবন রক্ষাকারী একটি বিষয়। এই ভ্যাকসিন নিয়েও তারা দুর্নীতি করছে। এই সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার। জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই সেটাও প্রমাণিত।

করোনার টিকা বেক্সিমকো গ্রুপকে আমদানির দায়িত্ব দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমদানির প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির ফলে জনগণের টিকা প্রাপ্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সরকারের লাভজনক পদে নিয়োগকৃত কোনো ব্যক্তি, যিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা, তাঁর এই সম্পৃক্ততা বেআইনি এবং অপরাধমূলক।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সভায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।