চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

কিসের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে? কাদেরকে রিজভীর প্রশ্ন

কিসের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে? কাদেরকে রিজভীর প্রশ্ন

বন্দর নগরের ৭৮ শতাংশের বেশি ভোটার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পরে রাত পৌনে ২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা গণভবন থেকে পাঠানো ফলাফল ঘোষণা করেছেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ফলাফল দিতে সর্বোচ্চ এক-দুই ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়। ডাকাতির পর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে হিসাব মেলাতেই এ দীর্ঘ সময় লেগেছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের আপন ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জে নাগরিক সভায় বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব পদ বাঁচাতে অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আপনি মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে কতদিন টিকে থাকবেন। কিসের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে? চট্টগ্রামে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। রক্তপাত হয়েছে। এটাকে মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, স্বয়ং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাহেব বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন হলো অনিয়মের একটি মডেল। আগামীতে দেশব্যাপী যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে এ মডেল অনুসরণ করা হলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সভায় আমরা আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখতে পারব না।

রিজভী বলেন, কিছু দিন আগে ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য কমিশনের প্রতি যে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এবং বিচার দাবি করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকপত্র দিয়েছেন তার যৌক্তিকতার প্রমাণ তারা নিজেরাই বারবার দিচ্ছেন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে যারা ধ্বংস করেছে তারা জবরদখলকারি বর্তমান সরকার।

তিনি বলেন, কুয়েতের আদালতে বর্তমান সংসদের একজন এমপির সাজা হওয়ার ঘটনায় বর্তমান সরকারের দুর্নীতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটিতে সরকারের টনক না নড়লেও এটি দেশের জন্য লজ্জার। রাতের ভোটের সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া পাপুলের মতো এমপিরা বেপরোয়া দুর্নীতি করার সাহস পেত না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, টিআইবি গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দিয়েছে দুর্নীতির ধারণা সূচকে আগের বছরের তুলনায় আরও দুই ধাপ নিচে নেমে এসেছে বাংলাদেশ। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত 'দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০' এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সিপিআই ২০২০ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার নিচের দিক থেকে বাংলাদেশ ১২তম অবস্থানে আছে। আমরা আগেও বলেছি-দুদক হলো বিরোধী দল নির্যাতনের হাতিয়ার। আর সরকারি দলের দুর্নীতি ধোয়ার মেশিন। মূলতঃ গণতন্ত্রহীনতার কারণেই বর্তমানে দেশে দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে।

এমজে/