বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত শতাধিক, আটক ২১

বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত শতাধিক, আটক ২১

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুর বারোটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এতে ছাত্রদলের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল রহমান আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবিয়র রহমান সাগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহবায়ক শাফি, শহিদুল্লাহ হল ছাত্রদলে সভাপতি শাহিন, এসএম হলের নাহিদুজ্জান শিপন, মহসিন হলের রোমান পাঠান, নয়ন ছাড়াও বিএনপি ছাত্রদল যবুদলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় দুই জন পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আওয়ামী নাৎসী পুলিশ বাহিনীর পৈশাচিক এই হামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগরীর উত্তর-দক্ষিণের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, লাঠিপেটা করে অনেকের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমাবেশ শুরুর সময় থেকেই পুলিশ বিনা কারণে উস্কানী ও মারমুখী আচরণ করে।

তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকারের ভাবমূর্তি এমন তলানীতে ঠেকেছে যে, জনগণের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার সিরিজ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আজকের প্রেসক্লাব এলাকা ছিল যেন রক্তমাখা রণক্ষেত্র। দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের ওপর পুলিশ যে হামলা করেছে তা কেবলমাত্র কাপুরুষরাই করতে পারে। ডা. জাহিদ অনেক অনুরোধ করার পরেও পুলিশ তাকে রেহাই দেয়নি, উপর্যপুরি তার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। আজকে পুলিশের আচরণ ছিল উদ্ধত, বেপরোয়া ও সন্ত্রাসী ক্যাডারদের মতো।

তিনি বলেন, উৎপীড়নের বাতাবরণের মধ্যেও বিএনপির সভা-সমাবেশের মানুষের ঢল দেখে সরকার দিশেহারা, তাই সরকার লাঠির ভাষায় জবাব দিতে চাচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি ও চুরি বিদ্যার কুকীর্তি আড়াল করা যাবে না। জনগণ সব ধরে ফেলেছে। জাতি মাফিয়া রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করেছে। হঠাৎ করেই সরকারের পতনের সংবাদ পাওয়া যাবে। এই সরকার এখন কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছে।

তিনি জানান, পুলিশী হামলায় আহত হয়েছেন ১১৯ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে।