সাঈদ খোকনের অর্থ আত্মসাৎ মামলার প্রতিবেদন ৩ মার্চ

সাঈদ খোকনের অর্থ আত্মসাৎ মামলার প্রতিবেদন ৩ মার্চ

রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেট-২-এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আগামী ৩ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে মামলা দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু। ওই দিনই আদালত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। সেই থেকে দুইবার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছালো।

মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও সাতজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন— ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। বাদী এ লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তাকে প্রাণহানির চেষ্টা করেন। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কিন্তু কোনো দলিলাদি দেননি।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৪/১০৯/১২০(খ)/৪০৬/৪১৭/৪৬৮/৪৭৭ (ক)/৫০৬ ধারায় অর্থ আত্মসাৎ ও অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।

ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেট-২ এর নকশা বহির্ভূত ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করে গত ৮ ডিসেম্বর তা ভাঙতে অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানের বৈধতা পেতে সাঈদ খোকন মেয়র থাকার সময়ে দোকান প্রতি পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও সে সময় দোকানের বৈধতা পাননি তারা।

এমজে/