খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর করা ওকালতনামা পেতে হাইকোর্টে রিট

খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর করা ওকালতনামা পেতে হাইকোর্টে রিট

ঢাকা, ২২ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা, কুমিল্লা, নড়াইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা মামলায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে জন্য কারা কর্তৃপক্ষর মাধ্যমে ওকালতনামা পেতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন। আগামী রবিবার হাইকোর্টের রিট এখতিয়ার রয়েছে এমন একটি বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি প্রিজনসহ চারজনকে বিবাদি করা হয়। রিট আবেদনে কারা কর্তৃপক্ষকে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরকৃত ওকালতনামা আইনজীবীদের প্রদান করার জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট কারী আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, ঢাকা, কুমিল্লা, নড়াইলসহ বিভিন্ন স্থানে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আইনগতভাবে মোকাবেলা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরের জন্য ওকালতনামা প্রদান করা হয়। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর করা ওকালতনামা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে গত ১৯ মার্চ ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর করা ওকালতনামা প্রদান করতে কারা কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।

ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দায়ের করা হয়।

গত ১৭ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরকৃত ওকালতনামা না পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফিরে আসেন আইনজীবীরা। তাদের অভিযোগ, বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি রাখতেই ওকালতনামায় স্বাক্ষর না দিতে কারা কর্তৃপক্ষ কৌশল নিয়েছে। এর আগে গত ১৬ মার্চ বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আইনজীবীরা অপেক্ষা শেষে ফিরে যান।

আইনজীবীরা জানান, কুমিল্লার একটি, নড়াইলের একটি ও ঢাকার সিএমএম আদালতের দু’টি মামলায় ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নেয়ার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করা হবে। এর আগে কারাগারে ১৯টি ওকালতনামা দেয়া হয়। তার মধ্যে নড়াইল ও সিএমএম কোর্টের মামলার ওকালতনামাও ছিল। কারা কর্তৃপক্ষ আগে কেবল কুমিল্লার একটি মামলার ওকালতনামা স্বাক্ষর করিয়ে সরবরাহ করেছে। বাকি ওকালতনামা স্বাক্ষর করে জেল অথরিটি ফিরিয়ে দেয়নি। নড়াইল ও সিএমএম কোর্টের তিনটি মামলার ওকালতনামায় স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। কিন্তু ওই তিনটি ওকালতনামায় স্বাক্ষর এনে দিতে বিব্রতবোধ করেছে তারা।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৫৩ঘ.)