‘বিচারাঙ্গণে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ বার নির্বাচনের ফল’

‘বিচারাঙ্গণে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ বার নির্বাচনের ফল’

ঢাকা, ২৩ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : বিচারাঙ্গণে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ সুপ্রিম কোট বার নির্বাচনে ফলাফলে ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী তথা বিএনপি সমর্থিত প্যানেল সভাপতি-সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিপুলভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এ বিজয় দেশের বিচারাঙ্গণে সরকারি নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ। দেশের বিচার বিভাগের এই চরম সঙ্কটে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা সঠিক রায় দিয়ে বিচারালয়ে সরকারি নোংরা খেলার দ্ব্যর্থহীন প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। খালেদা জিয়াকে বন্দী করে সরকার যে এক ভয়ানক ফন্দী আঁটছে সেটা এখন দেশের মানুষের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমরা সেটিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করবো।

রিজভী আহমেদ আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সরকার তাকে বাহিরে রেখে ভোটের যে ষড়যন্ত্র করছে তা কখনও সফল হবে না।

খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বন্দী করার পর এখন তার জামিন বিলম্ব করতে ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিতে বাধা দিচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেলে বন্দী করার পর তাকে আরো চারটি মিথ্যা, সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অনেকবার চেষ্টা করেও আইনজীবীরা ওকালতনামায় বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নিতে পারেন নি কারা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায়। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি মামলার ওকালতনামায় বেগম খালেদা জিয়ার সই নিতে গিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পেয়ে আইনজীবীরা ফিরে এসেছেন। এ জন্য এসব মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় একের পর এক হস্তক্ষেপ করে যে নোংরা খেলা তারা খেলছে, তা দেখে গোটা জাতি শুধু বিস্মিত নয় ঘৃনায় ধিক্কার জানাচ্ছে।

বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় পরামর্শক হিসেবে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, লর্ড কার্লাইল একজন ব্রিটিশ আইনজীবী। তিনি যে কোনো মামলায় লড়তে পারেন। একজন আইনজীবী যদি মনে করেন একটি যুক্তি সংগত মামলায় তিনি লড়বেন, তাহলে তিনি যেই হোক না কেন লড়তে পারেন। এখানে বিতর্ক সৃষ্টি করার কি আছে। বিতর্ক সৃষ্টি হল আওয়ামী লীগের চিরাচরিত স্বভাব ধর্ম। যে কোন কাজে তারা বিতর্ক তৈরী করেন তারা। আপনারা কি করেছেন ১৯৯৫-৯৬ ও ১৯৮৬ সালে। এগুলো কি মানুষ ভুলে গেছে। মানুষ ভুলে যায়নি। সেগুলো তাকিয়ে দেখে অন্যের দিকে অভিযোগের অঙ্গুল তুলবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড় এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৪৬ঘ.)