লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি সিপিবির

লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি সিপিবির

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এই দাবি জানান।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক জনি তালুকদার। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বক্তারা দ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। একই সঙ্গে তাঁরা মানুষের স্বাভাবিক বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সত্য প্রকাশ করার জন্য যারা এগিয়ে আসছে, তাদের বিভিন্নভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। সত্য বলার জন্য একজনের জেলের ভেতরে মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। এটা হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছু নয়।

সভাপতির বক্তব্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল হয়েছে। সেই মিছিল থেকে সাত শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু সরকারি উকিলের জন্য তাদের জামিন আটকে আছে। দেশ আজ শোষক ও ভুক্তভোগী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা জয়, চঞ্চল, জয়তী, নাজিফা, রাফি, আকিব, ছাত্রফ্রন্ট নেতা সাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক মারা যান।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় ১০ মাস আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল লেখক মুশতাককে। গ্রেপ্তারের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মোট ছয়বার তাঁর জামিন আবেদন নাকচ হয়।

লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর আবারও জোরেশোরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি উঠেছে । মতপ্রকাশের অধিকার হরণ এবং বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য এ আইন বড় হুমকি উল্লেখ করে তা বাতিল বা সংশোধনের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।