এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

সিটি স্ক্যানের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৯ মিনিটের দিকে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে একটি প্রাইভেট কারে বের হন তিনি।

রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে বহন করা গাড়িটি পৌঁছায়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, একজন নার্স এবং গৃহকর্মী ফাতেমা।

এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয় খালেদাকে বহনকারী গাড়ি। গাড়ির পেছনের আসনে বেগুনী রঙের পোশাক পরা খালেদার সঙ্গে আরও একজনকে দেখা যায়।

এর আগে বিকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা শেষে অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত দুদিনে ম্যাডামের অবস্থা আর বর্তমান অবস্থার রিপোর্ট করেছি। তাতে আমরা দেখেছি, উনার শারীরিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ ভালো। উনার অক্সিজেন সেচুরেশন ভালো আছে। ব্লাডের রিপোর্টও ভালো আছে। তবে গতকাল রাতে উনার জ্বর ছিল, আজ সকালেও জ্বর ছিল একশর মতো। তবে উনি ভালো আছেন, স্টেবল আছেন।’

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত রবিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তখন থেকে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। তাঁর বাসার আরও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুরু থেকেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের দেখভাল করছেন এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক।

আজ এই চিকিৎসক বলেন, ‘কোভিডের পরিভাষায় ম্যাডাম এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে আছেন। আর কোভিডের সব বড় সমস্যা হয় দ্বিতীয় সপ্তাহেই। তাই সে বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি। আমরা এখন উনার সিটি স্ক্যান করাব।’

কোথায় রেখে চিকিৎসা করা হবে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বলেন, ‘কোভিডে বলা যায় না কখন কী অবস্থা হয়। তাই আমরা সিটি স্ক্যান করার পর বলতে পারব উনাকে বাসায় রাখব নাকি কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালে নেব। সেটা পরে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে।’

‘খালেদা জিয়ার মানসিক অবস্থা ভালো আছে। আর উনি নিজেই বলেছেন যে, উনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেটা ফিল করছেন না। তিনি বলেছেন, টেস্ট না হলে তো কিছু বুঝতামই না। তাতে বলা যায়, উনার মানসিক অবস্থা ভালো আছে।’