বাঁশখালী ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক দলের মানববন্ধন

‘অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়ার মূল কারণ গ্রেপ্তার–বাণিজ্য’

‘অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়ার মূল কারণ গ্রেপ্তার–বাণিজ্য’

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন শ্রমিক নিহত ও অনেক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের বিচার, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। বক্তারা অভিযোগ করেন, বাঁশখালীতে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, এর মূল কারণ গ্রেপ্তার–বাণিজ্য করা।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাঁশখালীতে পাঁচজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হলো। এখন তারা শ্রমিকদের দাবি মেনেছে। দাবি যখন মানবেই তবে পাঁচটি জীবন নিল কেন? এরপর সেখানে শ্রমিকদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলায় অনেক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আমরা বলব, এই অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়ার মূল কারণ হলো গ্রেপ্তার–বাণিজ্য করা। তা না হলে সেখানে তো কর্মচারীদের নাম–ঠিকানা আছে।’

এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা যদি চুপ থাকি প্রতিনিয়ত এ ঘটনা ঘটবে। তাই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু বিচার ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সরকার আমাদের দাবি মানতে অপারগ হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের সভাপতি খন্দকার জুলফিকার মতিন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম রাজা, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, সিনিয়র সহসভাপতি সুমন ভূঁইয়া, সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।