সরকার মানবিক কারণে হলেও খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার ব্যবস্থা করবে : মির্জা আলমগীর

সরকার মানবিক কারণে হলেও খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার ব্যবস্থা করবে : মির্জা আলমগীর

সরকার মানবিক কারণে হলেও করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি সরকার মানবিক কারণে তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়া এখনও কারান্তরীন রয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থায় তার কিছু শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেই জন্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের আঙ্খাকা বা ইচ্ছা যে তার চিকিৎসাটা পূর্ণাঙ্গ কোনো হাসপাতালে হোক। উন্নত বলতে, বাংলাদেশের উন্নত হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরও উন্নত বিদেশে কোনও হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব কিনা? আমরা এই বিষয়ে গতকাল তার পরিবার থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যে অনুমতি দরকার, তা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি সরকার মানবিক কারণে তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতা সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এটা তো অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের একটা অধিকার তাদের নেতাকে তারা সুস্থ দেখতে চান। আজকে বিভিন্ন কারণে ভিন্নভাবে আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ গণতন্ত্রের কর্মীকে মামলা দিয়ে আসামি করা হয়েছে। আমাদের ৫ শত বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। ১ অধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছে। এই নির্যাতন চলছে এক যুগ ধরে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা- আমরা সবাই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমাদের দলের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের একমাত্র আশা-ভরসার স্থল, যিনি দীর্ঘকাল সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন আবার সেই গণতন্ত্রের চরম সংকটময় মুহুর্তে তাকে সুস্থ হিসেবে দেখতে চায় মানুষ। সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে তাকে সকল প্রকার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন।

তিনি আরও বলেন, পোস্ট কোভিড জটিলতা থাকে, সেটা মাঝে-মাঝে র্টান নেয় বিভিন্ন দিকে। ম্যাডামের যে বয়স এবং তার যে বিভিন্ন রোগ আছে। এর আগে তিনি প্রায় ৩ বছর কারাগারে ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান হোসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এমজে/