বললেন মির্জা আলমগীর

খুব লাফালাফি হচ্ছে এখন, হু ইজ পরী মণি?

খুব লাফালাফি হচ্ছে এখন, হু ইজ পরী মণি?

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা
এনটিভি অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই সরকার চিত্রনায়িকা পরী মণির ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই যে দেখেন সাংবাদিক ভাইয়েরা, খুব লাফালাফি হচ্ছে এখন। ইস্যুটা হচ্ছে পরী মণি। হু ইজ পরী মণি? আমরা কী বুঝি না যে, আপনার (সরকার) আবার সেই ডাইভারসান, আবার সেই অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া। প্রতি মুহূর্তে জনগণকে বিভ্রান্ত করা, প্রতারণা করা, মিথ্যাচার করা—এটাই হচ্ছে কিন্তু ওদের (ক্ষমতাসীন) মূল কাজ। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, মানুষকে ভুলপথে নিয়ে যাবে।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এক গোল টেবিল আলোচনায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশে চারটি পত্রিকা রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয় সরকার। এদিনটিকে প্রতি বছর বিএনপি ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

জনগণকে বিভ্রান্ত করার কারণ তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন আপনার যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, তাঁর মুক্তি নিয়ে যখন কথা ‍উঠছে, যখন দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা উঠছে, যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একেবারে চরম ব্যর্থতা, কোভিড যখন চরমে উঠছে, তখন আবার একটা এদের নিয়ে ডাইভারসান করা হচ্ছে।’

‘এই ধরনের যে.. মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা, এই যে খেলা- এটা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব। এক রকম কৌশল করেই তারা সমস্ত জাতিকে দমন করে রাখছে। তারা প্রতারক সরকার, জনগণের সাথে প্রতারণা করেই এভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।’

চিত্রনায়িকা পরী মণির দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি না, কত দূরে কী সত্য, কী ঘটনা-না ঘটনা আমি জানি না। কিন্তু কালকে এই ঘটনাটা দেখে মনে হয়েছে যে, এভরি থিং ইজ পজিবল ইন দিস কান্ট্রি। মামলা করল একটা, আর আরেক ঘটনার অপরাধে তাঁকে (জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ) গ্রেপ্তার করে নিয়ে সাত দিন রিমান্ডে। আমি বুঝিনি, সত্যি বলছি আমি বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা।’

‘আপনারা মামলা করলেন ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টায় একটা জায়গা। আর তাঁকে (আসামি) যখন নিয়ে যাচ্ছেন রিমান্ডে, কী জন্য যে তাঁর কাছে মাদক পাওয়া গেছে। যেখান থেকে তাঁকে অ্যারেস্ট করেছে, সেই বাড়িটিও তাঁর নয়, এটা আরেকজনের বাসা। আমার কাছে এসব বোধগম্য নয়, আমি বুঝি না এগুলো। আজকে অনেক প্রশ্ন এসেছে তাহলে কি শুধু ক্ষমতাসীনরা, ক্ষমতাধারীরা যা চাইবেন, তাই হবে? এই প্রশাসন যাকে ইচ্ছা, যাকে খুশি তাকেই তুলে নিয়ে যাবে। তার সম্মান, ইজ্জত, তার পরিবারের কাছে ইজ্জত, সমাজের কাছে ইজ্জত, সমস্ত কিছু ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।