দখল, ক্লাব তৈরি সব আওয়ামী লীগ করছে: মির্জা আলমগীর

দখল, ক্লাব তৈরি সব আওয়ামী লীগ করছে: মির্জা আলমগীর

ঢাকার আশপাশের নদীগুলো ভরাট করে দখল করার জন্য ক্ষমতাসীনদের দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘কারা দখল করছে? আওয়ামী লীগের নেতারা দখল করছে। কারা সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে, কারা পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করছে? কারা ক্লাব তৈরি করছে? সব আওয়ামী লীগের লোকজন, এমপি।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বেরাইদ এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
বেরাইদ এলাকার নিকটবর্তী বালু নদীর আশপাশ দখলের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চারদিকে তাকিয়ে দেখবেন, এখান থেকে সেই রূপগঞ্জ পর্যন্ত সব দখল করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপিরা। এভাবে দখল করে সত্যিকার অর্থে একটা বিরূপ প্রকৃতি তৈরি করেছে, যেটা নিয়ে বেঁচে থাকা বড় কষ্টকর।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছে, যাচ্ছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এই করোনা নিয়েও তারা ব্যবসা করে। টেস্ট নিয়ে ব্যবসা করে, হাসপাতালের বেড নিয়ে ব্যবসা করে, হাসপাতাল নিয়ে ব্যবসা করে, এখানে তিন শ ফিটের কাছে একটা হাসপাতালই তারা উধাও করে দিয়েছে। এভাবে আজকে তারা দেশে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু করেছে।

বেরাইদে একটি নিমগাছের চারা রোপণ এবং স্থানীয় নেতাদের মধ্যে নিমগাছের চারা বিতরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব। এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে পাঁচ লাখ নিমগাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানানো হয়।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বৃক্ষরোপণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে সর্বত্র সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু হয়েছিল। নতুন করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে বৃক্ষায়নের কর্মসূচি শুরু করেছি। এটাকে আমরা একটা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে চাই।’

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে একদিকে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে, অন্যদিকে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তারা ক্ষমতায় আসার পর বড় বড় রাস্তার দুই ধারে যে পুরোনো গাছগুলো ছিল, সেগুলোর একটাও নেই। ঢাকার বাইরে জেলা পরিষদের যত গাছ ছিল, সব নিজেরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে কেটে নিয়ে গেছে।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল), সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।