লকডাউনের সিদ্ধান্তগুলো মনে হয় পাবনা থেকে আসছে: বিএনপি

লকডাউনের সিদ্ধান্তগুলো মনে হয় পাবনা থেকে আসছে: বিএনপি

করোনা মহামারি ঠেকাতে সরকারি নেওয়া পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভারতীয় ডেল্টা ভ্যরিয়েন্ট করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের লকডাউন লকডাউন খেলা আরেক মর্মান্তিক তামাশা। প্রথমে লকডাউন, পরে কঠোর লকডাউন, তারপরে শিথিল লকডাউন, ঈদের একদিন পর থেকে ফের কঠোর লকডাউন, শিল্প কল কারখানা বন্ধ; এসব ঘোষণা থেকে মনে হয় সরকারি সিদ্ধান্তগুলো সবই পাবনার হেমায়েতপুর থেকে আসছে।

রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। এদিন শনিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানাতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এসব অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের দিন আনে দিন খায়, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মানুষ, হকার, ছোট ব্যবসায়ী, রিকশা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিক, মাঝি, বাইকের চালক ও পরিবহন শ্রমিকেরা। বিএনপি বারবার এসব মানুষের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিল। সরকার কখনই তাতে কর্ণপাত করেনি, উপরন্তু বিদ্রুপ করেছে।’

শ্রমজীবী মানুষদের এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার দাবি ফের তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ছোট ব্যবসায়ীদের পুঁজির ব্যবস্থা এবং দিনজুরদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হোক।

হাসপাতালগুলোতে এখনও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জরুরিভিত্তিতে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে করোনা বেডের সংখ্যা বাড়ানো, অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং আইসিইউ বেড সংযোজন করা এখন সময়ের দাবি। আক্রান্ত রোগী ও স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।

মির্জা ফখরুল প্রশ্ন করেন, গাছের তলায়, অ্যাম্বুলেন্সে অথবা ভ্যানের ওপর রোগীর চিকিৎসার দৃশ্য কী মধ্য আয়ের বাংলাদেশ বা উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশের ছবি দেখায়।