উচ্চতা ঠিক রেখে সেতু বানাতে বললেন হাসিনা

উচ্চতা ঠিক রেখে সেতু বানাতে বললেন হাসিনা

দেশের সব জায়গায় উচ্চতা ঠিক রেখে সেতু বানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেকোনো জায়গায় সেতু বানানোর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন।

রাজধানী শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুল পরিকল্পনার কারণে বুড়িগঙ্গা নদীতে নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী (বছিলা) সেতুটি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কারণ, ওই সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এ ছাড়াও বৈঠকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে বিভিন্ন দেশ থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে ফেরত আসা প্রবাসীদের সম্মানজনক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রবাসীরা এতদিন আমাদের দিয়েছেন। এখন তাদেরকে আমাদের দিতে হবে। তারা যাতে পুনরায় সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসিত হতে পারে, সেজন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। তারা যেন সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হতে পারে, তার জন্য সহায়তা দিতে হবে।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজকের একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে দুই হাজার ৬০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউলুপ, আন্ডারপাস ও ওভারপাসের কথা চিন্তা করে এখন থেকে সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ করতে হবে। এতে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা আসবে। মানুষও উপকৃত হবে।

এমএ মান্নান বলেন, আজকের সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থানে ‘পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বালুমহাল নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, দেশের যত্রতত্র বালু ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এ ধরনের ব্যবসা নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। বালু ব্যবসাকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে।

সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেন।