শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে থাকবে কেন? প্রশ্ন বিএনপির

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে থাকবে কেন? প্রশ্ন বিএনপির

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে লাগানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এত ভয় কীসের? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে থাকবে কেন?’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের নিচে নিশতাক আহমেদ রাখীর স্মরণে তার রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনায় এসব কথা বলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, গোটা দেশের মধ্যে স্বৈরাচার কায়েম হলেও বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত থাকে। ক্যাম্পাসে সিসি টিভি বসানোর কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ। তাহলে এতদিন যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখলেন, এটা তবে রাজনৈতিক কারণেই বন্ধ রেখেছেন?’

বিএনপির এই নেতা সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি তো ভোটে ক্ষমতায় আসেননি, এজন্য আতঙ্ক তাড়া করছে। কোথা থেকে আন্দোলনের ঢেউ আসে..., এজন্য আপনি ভিত।’ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেখেছে বলেও অভিযোগ তোলেন রিজভী।

দলীয় লোককে খুশি করতে লুটপাটের সংস্কৃতি বিদ্যমান রাখতে কুইক রেন্টাল অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের ভাই বলছেন, গণদুশমনের সরকার আজকের সরকার।’

এসময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘মানুষ ক্ষুধার্ত। হাহাকার করছে মানুষ। জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে। দেশের মানুষের আমানতের উপর সুদ কমিয়ে দিয়েছেন। সুদ কমিয়ে দিচ্ছেন। আপনি চান, ওরা মরুক। আপনারা প্লেনে প্লেনে ঘুরে বেড়াবেন, কিন্তু মানুষ মরবে।’