মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২০

মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২০

মাদারীপুর, ৭ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাদারীপুর শহরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। এতে পাঁচ পুলিশসহ ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন গুলিবিদ্ধ।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জেলা শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। গুরুতর আহত আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব সরদারের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দুর রহমান খালু খানের ছেলে মাথিনুর রহমান রুপসের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এদের মধ্যে সজীব সরদার মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের সমর্থক।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন আবির, সাইফুল, রাজু, মাসুম বিল্লাহ, ফারজাহান আক্তার, মিথি বাইন, মনি আক্তার, রিয়া আক্তার, সজিব ফকির, কানন শরীফ, হাসান ফকির, সাদরী শরীফ, হাসান মাতুব্বর, আন্তরা আক্তার, রবিন মৃধা, ফরিদ, রুহুল আমিন, মিরাজ এবং আল-আমিন।

আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যর মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন মাদারীপুর সদর থানার এসআই শ্যামল বিশ্বাস, হাসানুজ্জামান, এএসআই আসগর। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিক ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সজীব ও মাথিনুর রহমান রুপসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানুর রহমান সনেট বলেন, আহত হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।

মাদারীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান জানান, সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শনিবার সকালে একটি মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১০১০ঘ.)