ব্যবসায়ীর পা ‘ভেঙে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা’

ব্যবসায়ীর পা ‘ভেঙে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা’

ঢাকা, ৮ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : ঢাকার আশুলিয়ায় সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর জমি দখল করতে না পেরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় দীর্ঘ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আদালতে মামলা করেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ব্যবসায়ীর। উল্টো ওই ছাত্রলীগ নেতার ভয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে গত দুই মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।

আদালতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা হলেও আশুলিয়া থানায় মামলা হয় এর দেড় মাস পর ২৫ মার্চ।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম আহম্মেদ সেনওয়ালিয়া এলাকায় তার প্রায় নয় শতাংশ জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছিলেন। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে গত ৪ জানুয়ারি দুপুরের দিকে নিজ বাড়ি থেকে উঠিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ঢাকা হাউজিং সোসাইটি ও নফেল প্রজেক্টের ভেতরে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার দুই হাত-পা ও চোখ বেঁধে রড, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটানো হয় সিদ্দিকুরকে।

এক পর্যায়ে রড দিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেয়া হয়। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় নির্যাতনকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ ঘটনার পর তিনি আশুলিয়া থানায় মামলার চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদ ও তার সহযোগী শহিদুল, এম আর হাবিবুর রহমান (রবিন), ইমরান, রাসেল, সাগর, ডিপজল, লোকমানসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের নামে একটি মামলা করেন।

আর এই মামলার পর ছাত্রলীগ নেতা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এখন তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তবে ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সামাজিকভাবে হেয় করতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি এই মামলায় জামিনে রয়েছেন বলেও জানান।

জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি ওই ছাত্রলীগ নেতা দোষী প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কবির হোসেনের কাছে থানায় মামলা রুজুর বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’ তবে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ কারা সেটা বলেননি তিনি।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/৯৫৫ঘ.)