ইসি গঠনে আইনের উদ্যোগ ‘যেই লাউ সেই কদু’

ইসি গঠনে আইনের উদ্যোগ ‘যেই লাউ সেই কদু’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন করার উদ্যোগকে ‘যেই লাউ সেই কদু, বরং পচা কদু’ হিসেবে দেখছে বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, পর্বত মূষিকের চেয়ে বেশি কিছু প্রসব করবে না। এতদিন যা প্রশাসনিক কায়দায় হতো, এখন তা আইনিভাবে হবে।

মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবিধানে আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তা হয়নি। অবশেষে সেই আইন করে ইসি গঠন হতে যাচ্ছে। এ জন্য সোমবার আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে এখনকার মতো অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই আইনে কোনো নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, আইনজ্ঞ থাকতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথাও এ নিয়ম নেই। সারাজীবন সরকারি আদেশ মেনে চলা যাদের অভ্যাস, সেই কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিশন হবে। এ জন্যই এটি ‘যেই লাউ সেই কদু, বরং পচা কদু’।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সরকার ও তাদের গঠিত কোনো কমিশনের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেননি। তাই এ নিয়ে কথাও বলতে চান না।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তৈমুর আলম খন্দকারের বিএনপির পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলে এখনও এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা নেই।

এমজে/