গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া একই সুতোয় গাথা : মোশাররফ

গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া একই সুতোয় গাথা : মোশাররফ

রাজশাহী, ১৫ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন- গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সুতোয় গাথা। তাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণকে বাইরে রেখে ২০দলীয় জোটকে বাইরে রেখে নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রবিবার রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে বিএনপির আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন।

এর আগে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সেখানে অনুমতি না পাওয়ায় ভুবন মোহন পার্কে এই সমাবেশ করে দলটি। দুপুর ২ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টার আগেই নেতাকর্মীরা ভুবন মোহন পার্কসহ মূল সড়ক ও পাশের অলি-গলি এবং আশেপাশের ভবনের ছাদে অবস্থান নেন।

সমাবেশে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের পরিচালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার বাদ আসর ঠাকুরগাঁয়ে নিজ বাড়িতে সদ্য প্রয়াত মা ফাতিমা আমিনের কুলখানির কারণে সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে জনগণ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। সেজন্য শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, জনগণকে ভয় পায়।

আগামী নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সেটা কি হতে পারে? এসময় জনগণ না সূচক উত্তর দেয়। তখন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কেউ জানতাম না, হঠাৎ করে একটা আন্দোলন হলো। আগামী দিনে গণতন্ত্রের আন্দোলন, জনগণের অধিকারের আন্দোলনও সেরকম হবে। জনগণ যখন রাস্তায় নামবে তখন তারা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। সেই আন্দোলনে রাজশাহীবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, নির্বাচনে যেতে চাই তবে কোনো পাতানো নয়, আমারা বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাব না। তাকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমুদ্রের পানি বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা যায় না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী পুলিশবাহিনী কোটা আন্দোলনে বাধা দিলেও আটকাতে পারেনি, যুবসমাজ তেমনি একদিন আসবে সবকিছু উপেক্ষা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েস্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের প্রয়োজন গণতন্ত্র মুক্ত করা। আজ যারা আমাদের ঘুম হারাম করেছে, তাদের ঘুম হারাম করার ব্যাবস্থা করেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, পুরো মহানগরী জনতার নগরীতে পরিণত হয়েছে। সমাবেশে নেতাকর্মীদের বাধভাঙ্গা উপস্থিতিই প্রমাণ করেছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা খালেদা জিয়া।

সমাবেশে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেব না।’

অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০২৮ঘ.)