মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত দেড় শতাধিক

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত দেড় শতাধিক

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২১ সেপ্টম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা যায়, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে সার্কেল এসপি মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান, এসআই সুকান্ত বাউল, দাজল দাস, মাইনুদ্দিন, আসিনুল, অজিদ, মোজাম্মেল হক, কং রায়হান, ইলিয়াস খানসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ, সমকালের সাংবাদিক কাজী সাব্বির আহম্মেদ দীপু, কালবেলার সাংবাদিক মো: রুবেল, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেন, রজত রেখার সাংবাদিক নাজির হোসেন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে ৫-৬ জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

 

পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। জবাবে পুলিশও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করি। লাঠিচার্জেও নিয়ন্ত্রণ না এলে এক পর্যায়ে টিয়ার্সেল গ্যাস নিক্ষেপ করেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।