শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকারগ্রস্ত মনের স্বৈরশাসকের কন্ঠস্বর: রিজভী আহমেদ

শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকারগ্রস্ত মনের স্বৈরশাসকের কন্ঠস্বর: রিজভী আহমেদ

ঢাকা, ৩ মে (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন-আগামী নির্বাচনে কোন পার্টি আসলো বা আসলো না তাতে কিছু আসে যায় না। তার বক্তব্য বিকারগ্রস্ত মনেরই বহি:প্রকাশ। এটা স্বৈরশাসকের কন্ঠস্বর। কারণে অকারণে জ্ঞান দেয়। তিনি সেটাই করেছেন। তার গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্য হিংসায়-প্রতিহিংসায় আকন্ঠ আপ্লুত।

বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, আপনি ৮১ সালে দলের সভানেত্রী কিভাবে এবং কোন দেশে থেকে হয়েছিলেন সেটা কি আপনার মনে আছে? তখন আওয়ামী লীগে অনেক বর্ষিয়ান নেতা ছিলেন, তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে আপনি কিভাবে দলের সভাপতি হয়েছিলেন। আপনি তো আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন না। তারেক রহমান দলে ধাপে ধাপে সদস্য, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং পরে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ধারাবাহিকভাবেই জাতীয় রাজনীতির আজকের অবস্থানে উন্নীত হয়েছেন।

ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত-নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও তারেক রহমান নিজস্ব আদর্শে অটল থেকে জনগণের মধ্যে যে আস্থার জায়গাটি পেয়েছেন সেজন্যই প্রধানমন্ত্রীর হিংসা তারেক রহমানের দিকে ধেয়ে আসে। আর আপনি কোন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যতিরেকেই সরাসরি আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রী আয়নার দিকে তাকিয়ে কথা বলেন না, এটাই তার সমস্যা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন-কোটা আন্দোলনে যারা ছিল তাদের ছবি-টবি সংরক্ষণ করা আছে। তখন দেখা যাবে, ওই জেলার কারা কারা আন্দোলনে ছিল সেটিও আমরা দেখব। তারপর যদি কান্নাকাটি করে তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। এ প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এধরণের বক্তব্য নতুন কিছু নয়। এই বক্তব্যে তিনি তার ঐতিহ্যই বজায় রেখেছেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, এ জাতির জন্য লজ্জা এই যে, তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রীর জিঘাংসা কত তীব্র হতে পারে। গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যে এটাই প্রমানিত হলো যে, প্রধানমন্ত্রী বাকশালের বেওয়ারিশ লাশটাই বয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর মনস্তত্ত্বে যেটি নেই, সেটি হলো-সততা, সভ্যতা, অন্যের প্রতি মর্যাদা, যোগ্যতা ও সহানুভুতি।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণকে নিয়ে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেছেন-যারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তারাই এর জন্য দায়ী। কেবলমাত্র জবাবদিহিহীন সরকার প্রধানের পক্ষেই এমন কথা বলা সম্ভব। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এমন সরকার প্রধানের পক্ষেই এ ধরণের বক্তব্য মানায়। প্রধানমন্ত্রী আপনি কি ভুলে গেছেন যে, আপনার কেবিনেটের মন্ত্রী বলেছিলেন-রাস্তায় গরু-ছাগল দেখতে পেলেই তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৩৩ঘ.)