হাসান সরকারের বাড়ি ঘেরাও করেছে পুলিশ, ভেতরে বুলুসহ একাধিক নেতা

হাসান সরকারের বাড়ি ঘেরাও করেছে পুলিশ, ভেতরে বুলুসহ একাধিক নেতা

ঢাকা, ৬ মে (জাস্ট নিউজ) : গাজীপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ি এখনও (রাত সোয়া ৯টা) ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ ভুলু, মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল হক মিলন, বিএনপি নেতা হেলালুজ্জামান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার।

এদিকে পুলিশ দাবি করেছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে সড়কে যানবাহন ভাঙচুর, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘তার কয়েকজন সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।’

তবে, যানবাহন ভাঙচুর বা যান চলাচলে বাধা দানের মতো কোনও ঘটনা রবিবার গাজীপুরে মহানগরের কোথাও ঘটেনি বলে দাবি করেছে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে আব্দুল্লাহ আল নোমান মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বাসা থেকে বের হন। এসময় টঙ্গী থানা পুলিশ তাকে আটক করে। তার সঙ্গে থাকা আরও চার নেতাকেও পুলিশ আটক করে। পরে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আরও কমপক্ষে ১০ জনকে আটক করা হয়। আটকের পর ইউনিফর্ম এবং সাদা পোশাকে পুলিশ হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের আদেশের খবর শুনে বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের টঙ্গীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আটক করে টঙ্গী থানা পুলিশ।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, ‘গাজীপুরের মহানগরের টঙ্গীতে সড়কে যানবাহন ভাঙচুর, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে। অভিযান শেষে ঠিক সংখ্যা বলা যাবে।’

বিএনপি মেয়র প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা প্রসঙ্গে এএসপি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে মনে করলে বা কোনও জায়গায় নাশকতার মামলার কোনও আসামি থাকার খবর পুলিশের কাছে থেকে থাকলে পুলিশ যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারে। অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগটি ভিত্তিহীন।’

(জাস্ট নিউজ/জেআর/২৩৩০ঘ.)