কেসিসি নির্বাচন : গণগ্রেপ্তার চিত্র

কেসিসি নির্বাচন : গণগ্রেপ্তার চিত্র

ঢাকা, ১৫ মে (জাস্ট নিউজ) : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর কর্মী সমর্থকদের গণহারে গ্রেফতার করছে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে গ্রেফতার অভিযান শুরু হলেও মাত্রা ছিল কম। মনোনয়ন প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ ও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর থেকে শুরু হয় গণহারে গ্রেফতার। শুধু মহানগরই নয়, জেলা থেকে যে সব নেতাকর্মী শহরে এসে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তাদেরকে স্ব স্ব থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের তালিকা নিম্নরুপ:
২২ এপ্রিল : গ্রেফতার হন মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু।

৩০ এপ্রিল : খুলনা মহানগরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা কাজে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর গল্লামারী থেকে ডিবির হাতে গ্রেফতার হন বাগেরহাট জেলা যুবদল সভাপতি মেহবুবুল হক কিশোর।

২ মে : দিবাগত রাতে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ।
একই রাতে গ্রেফতার হন মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি নেতা মোঃ অহেদুজ্জামান, দৌলতপুর থানা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিঠু, দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা মোঃ ফারুক, সদর থানা শ্রমিক দল নেতা আবু তালেব, সদর থানা শ্রমিক দল নেতা ফারুক হোসেন, সদর থানা শ্রমিক দল নেতা গাউস হোসেন, লবনচরা থানা বিএনপি নেতা নাসির হোসেন, খালিশপুর থানার ১০ নং ওয়ার্ড বাস্তহারা ইউনিট বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা ভূট্টো, খালিশপুর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সান্টু, খালিশপুর থানা যুবদল নেতা শুকুর আলী, খালিশপুর থানা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম।
খালিশপুর থানা যুবদল নেতা সুমন।

৮ মে : রাতে গ্রেফতার হন মহানগর বিএনপির সহ ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক একরামুল কবির মিল্টন, সোনাডাঙ্গা থানার ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন টারজান, সদর থানার ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হাওলাদার, দৌলতপুর থানা শ্রমিক দল নেতা লোকমান হোসেন।

৯ মে দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে মহানগর বিএনপির সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনকে, রাতে খালিশপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান রিপন, খালিশপুর থানার ১০ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা জিহাদ, খালিশপুর থানার ৯ নং ওয়ার্ডের বাস্তহারা ইউনিট বিএনপি নেতা ও মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ইকবাল হোসেন, সদর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কামরুল বিশ্বাস, সদর থানার ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শুকুর আলী, সদর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, খানজাহান আলী থানার ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলী আকবর, মুন্না ও শহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ ডালিম ও মোঃ মাসুদ।

১০ মে : দিনে সদর থানার ৩০ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খোকন গ্রেফতার হন, ২৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহাদী হাসান সুমন।
২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মুকুল, সোনাডাঙ্গা থানার ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাজ্জাদ আলী, সদর থানার ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা মোস্ত, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাহ আলম, ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তানভীরুল আযম, সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাগর, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আরিফ, ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল কর্মী শাকিল, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবু ওয়ারা, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রিয়াজুল কবির, দৌলতপুর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ হাসান খসরু, দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা এস এম জসিম, খালিশপুর থানা ছাত্রদল নেতা মামুন পাটোয়ারী, ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তৈয়ব আলী, ১০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হাই কালু।

১১ মে : রাতে নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মহিবুজ্জামান কচি, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম নান্নু, ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. ফারুক হোসেন, ৩১ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন মন্টু, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট আব্দুল জব্বার। বাস্তুহারা ইউনিট বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন, ১৪নং ওয়ার্ড ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচীব হায়দার হাওলাদার, ২৫নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচীব আহসান হাবিব বাবু, ২১নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি রবিউল আলম, ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট বেল্লাল হোসেন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী আতিয়ার রহমান, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাহেব আলী, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খোন্দকার আকিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী মেহের আলী, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাকিল আহমেদ, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. শামীম।

১২ মে : খানজাহান আলী থানা বিএনপির সহ সভাপতি তোকাচ্ছের আলী হাওলাদার, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র নেতা হেদায়েত হোসেন হেদু, জেলা শ্রমিক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মতিউর রহমান, ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ ডালিম, ১ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দল সভাপতি বারেক ফরাজি, ৩ নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক বেল্লাল হোসেন, জেলা বিএনপির সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হোসেন শোভন, ২৭ নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ রেজা, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাকিরুল ইসলাম, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মুসা হোসেন খান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাদী, ১৯ নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের লিফলেট বিতরণের সময় গ্রেফতার হন শিবির কর্মী শরিফুল ইসলাম, মাহবুব হোসেন ও রাসেল।

১৩ মে : মহানগর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জিতু, ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেনসহ প্রমূখ । তাদেরকে স্ব স্ব থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৩৩০ঘ.)