পুলিশ কমিশনারের নির্দেশেই খুলনায় ভোট ডাকাতি : বিএনপি

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশেই খুলনায় ভোট ডাকাতি : বিএনপি

ঢাকা, ১৫ মে (জাস্ট নিউজ) : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আর এর জন্য খুলনার পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরকে দায়ী করেছেন তিনি, শুরু থেকেই বিএনপি যার প্রত্যাহার দাবি করে এসেছিল। এই পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশেই জাল ভোট দেয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী আহমেদ।

খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের তৃতীয় দফা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন অভিযোগ করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা নানা সূত্রে জানতে পেরেছি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বেলা আড়াইটা থেকে ৪টায় ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় নৌকা প্রার্থীর পক্ষে একচেটিয়া সীল মারার জন্য খুলনা পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন। ভোট এরকমই হবে বলে নৌকা মার্কার প্রার্থী নিশ্চিত ছিলেন বলেই নির্বাচনের দিনের দুদিন আগে ভোটে জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সেঁটেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী।

রিজভী আহমেদ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনদিনই দুষণমুক্ত নির্বাচন হবে না। সরকার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডাররা একই নৌকার যাত্রী হওয়ার কারণে ভোট ডাকাতির নির্বাচনকেই আদর্শ নির্বাচন হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।

অবৈধ সরকার জনগণ পরিত্যক্ত হলেই সেই সরকার বেআইনী কাজ করবেই। এর জন্য তাদের কোনো লজ্জাবোধ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারেরই বিম্বিত কন্ঠস্বর। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে, তা প্রহসন। প্রহসনের আরো একটি নিদর্শন হচ্ছে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন গোটা ব্যালট বইটির প্রতিটি পেপার নৌকা মার্কার সীলে ভরা। আরো কয়েকটি কেন্দ্রে সাংবাদিকরা ওই ধরনের ঘটনা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন।

আওয়ামী লীগের সকল কাজই প্রকৃতপক্ষে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজত্বে গণতন্ত্র এখন ছিন্নমুলে পরিণত হয়েছে। সরকার মুলত: দেশবাসীর রক্ত পান করতে করতে সারাদেশকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। ভোটারবিহীন সরকারের নিরবচ্ছিন্ন ভোটাধিকার হরণের ধারায় জনগণের অন্তহীন আর্তি এখন আকাশে-বাতাসে ধ্বণিত হচ্ছে। ভোট সন্ত্রাসের ঘটনায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটাররা ব্যথিত, বঞ্চিত, অপমানিত।

তৃতীয় দফায় অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৯৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতেই ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষমদদে নির্বাচনের ফলাফলকে নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য সকল অপচেষ্টা চালিয়েছে। ১৫০ টির বেশি ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮৪০ঘ.)