মন্ত্রীদের বাড়িতে দেখা-সাক্ষাৎ করছে মাদক ডিলাররা : রিজভী

মন্ত্রীদের বাড়িতে দেখা-সাক্ষাৎ করছে মাদক ডিলাররা : রিজভী

ঢাকা, ২৩ মে (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিচারবর্হিভূতভাবে নির্বিচারে বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা করে পৃথিবীর কোথাও সামাজিক অপরাধ দমন করা যায়নি।

বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় রিজভী আহমেদ বলেন, গত ৯ দিনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪৩ জন। নিহত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায়ী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে প্রকৃত বড়-বড় মাদক ডিলাররা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে কিভাবে? প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বাড়িতে তারা দেখা-সাক্ষাত করছে। চারদিকে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে সরকারি এই মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে। সন্দেহভাজনদেরও হত্যা করা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে? যতবড় অপরাধী হোক তা বিচারবর্হিভূত হত্যার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র যদি নানা অপরাধের পৃষ্ঠপোষক হয়, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিতদের যদি বৈধসত্বা না থাকে, তাহলে তাদের দ্বারা সৃষ্ট বে-আইনী কর্মকা- বিভৎস্যরূপে আত্মপ্রকাশ করবেই। এই বিচারবর্হিভূত হত্যার যাত্রাপথে ক্রমাগতভাবে সরকারবিরোধী লোকজনদের নির্মূলে ব্যস্ত থাকার আশংকা করছে অনেকেই। মাদকের পশ্চাদভূমি বন্ধ না করে, গডফাদারদের না ধরে শুধু ক্রসফায়ারের হিড়িক অব্যাহত রাখলেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সারাদেশে মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে এই ক্ষমতাসীনদের আমলে, ক্ষমতাবানদের পৃষ্টপোষকতায়। এই সকল ঘটনার মধ্যদিয়ে তারা দেশকে রক্তাক্ত নির্বাচনের দিকে নিয়ে যায় কিনা সেটি নিয়েও এখন মানুষ ভাবছে।

বিএনপি এই নেতা বলেন, জরাজীর্ণ ভবন দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকলে যা হয় এখন সেই রকমই অবাসযোগ্য ও নানা অসুখ-বিসুখ আক্রমনের কেন্দ্রস্থলে পরিনত হয়েছে কারাগারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসকরার কক্ষটি। অসংখ্য পোকামাকড়ে আর্কীণ কক্ষটি বাসকরা যেন নরকবাস। তার শরীরে পোকামাকড়ের দংশণে তিনি আরো বেশি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথা এবং বামহাতটা অবিরাম ব্যথার কারণে শক্ত হয়ে উঠেছে। দুইপা ক্রমাগত ব্যথা হচ্ছে এবং সেগুলো ভারি ও ফুলে উঠছে। মাত্র কিছুদিন আগে চোখে অস্ত্র-পচার হওয়ার কারণে দুই চোখই সারাক্ষণ জ্বালাপোড়া করতে থাকে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৩৪৪ঘ.)