মাদক নির্মূলের নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে : রিজভী আহমেদ

মাদক নির্মূলের নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে : রিজভী আহমেদ

ঢাকা, ২৬ মে (জাস্ট নিউজ) : এবারের মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই অভিযানে মাদক নির্মূলের নামে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ বলেন, গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেও পাঁচ জেলায় সাতজনকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সবার জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে।

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে। অনেক পরিবারের অভিযোগ, তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় রাতে বিচারবহির্ভূতভাবে নিরীহ লোকদের হত্যা করা হয়।

রিজভী আহমেদ বলেন, একদিকে জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে সরকারি চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, অন্যদিকে নিরীহ লোকদের ধরে হত্যা ও হত্যার ভয় দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলছে ঈদের আগে রমরমা বাণিজ্য। প্রতি ঈদ মৌসুমে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের রমরমা বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেয়। এখন গ্রেপ্তার-বাণিজ্যের পাশাপাশি হত্যা-বাণিজ্য চলছে। বাতাসে বারুদের পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়ে সরকার নিজের জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মাদক ব্যবসার গডফাদাররা মূলত আওয়ামী লীগেরই লোক, আর সেই কারণেই তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সরকারের উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, মাদক নির্মূলের নামে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। বিচারবহির্ভূত হত্যা নয়, প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮১৮ঘ.)