তিস্তায় নীরব শেখ হাসিনা, মোদি চুপ রোহিঙ্গায়: এনডিটিভি

তিস্তায় নীরব শেখ হাসিনা, মোদি চুপ রোহিঙ্গায়: এনডিটিভি

ঢাকা, ২৭ মে (জাস্ট নিউজ) : বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে গত শুক্রবার এক মঞ্চেই চার ঘণ্টা উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নীরবতাই যেন প্রবল হয়ে বাজল। একদিকে শেখ হাসিনা তিস্তা নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি, অন্যদিকে মোদির মুখেও ছিল না রোহিঙ্গা ইস্যু।

শনিবার ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যু আজও অমীমাংসিত। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। উত্তরবঙ্গের নদী থেকে বাংলাদেশ আরো বেশি পানি চায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে অনিচ্ছুক। তার মতে, বাংলাদেশকে পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। পশ্চিবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং দুই মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্প্রতি সীমানা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে কিছু সমস্যা এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে, আমি সেসব বিষয় তুলে এই সুন্দর অনুষ্ঠানকে ম্লান করতে চাই না। কোনো শব্দ উচ্চারণ না করেই বার্তা দেওয়ার একটি দারুণ উদাহরণ এটি। ‘তিস্তা’ শব্দটি উচ্চারণ না করেও তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুটি তুলেছেন শেখ হাসিনা। তবে রোহিঙ্গা শব্দটি বার বার এসেছে তার মুখে।

শেখ হাসিনার আগে বক্তব্য দেন মমতা। হিন্দু-মুসলিম সাম্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে উদ্বৃত করেছেন তিনি। তবে তিস্তা নিয়ে কোনো কথাই বলেননি।

আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা, রোহিঙ্গা– কোনো ইস্যু নিয়েই কথা বলেননি। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য শেখ হাসিনার। এই লক্ষ্য অর্জনে তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে ভারত।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১১৫৪ঘ.)