‘জনগণের স্বার্থে নয়, ভোটার আকর্ষণের বাজেট’

‘জনগণের স্বার্থে নয়, ভোটার আকর্ষণের বাজেট’

ঢাকা, ৭ জুন (জাস্ট নিউজ) : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে ভুয়া ও নির্বাচনের বছরে লুটপাটের বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার পৃথক অনুষ্ঠানে দলটির নীতি নির্ধারক ফোরামের চার সদস্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন। তারা বলেন, বাজেটের এই বিশালতার মধ্যে রয়েছে সরকারের একটা দুরভিসন্ধি। এটা জনগণের স্বার্থে বাজেট নয়, নির্বাচনের বছরে ভোট আকর্ষণের বাজেট। এ বাজেট বিরাট আকৃতির হলেও ভেতরে কিছুই নেই। সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের তুষ্ট করার নির্বাচনের বছরে লুটপাটের এ বাজেট দেয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘ভুয়া’ আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যানও করেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনী বছরে ভোটের আকর্ষণের জন্য এত বড় ঘাটতির একটি বিশাল বাজেট দেয়া হয়েছে। মূলত জনগণকে প্রতারণা করে ভোট বাড়ানোর জন্যই এ বাজেট। এটা নির্বাচনী বাজেট। ভোট আকর্ষণের বাজেট। জনগণের স্বার্থের বাজেট নয়। পল্টনস্থ মৈত্রী মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক নেতাদের সৌজন্যে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, যে বাজেট উপস্থাপন করেছে এটা বিরাট নীল রঙের ফাকা বেলুনের মতো বাজেট। এর বাইরে বিরাট আকৃতির হলেও ভেতরে কিছুই নেই। বিশাল বাজেট হলেই বিশাল উন্নয়ন হয় না। যে বিশাল বাজেট দেয়া হচ্ছে সেটার মাধ্যমে বিশাল উন্নয়ন হবে এটা বলা যায় না। কারণ এই সরকার যেসব উন্নয়ন মূলক কাজ করে তাতে প্রতি তিন মাস অন্তর বাজেট বেড়ে গেছে। তাই আমরা ধরে নিচ্ছি বাজেটের এই বিশালতা দেখানোর মধ্যে একটা দুরভিসন্ধি রয়েছে।

বাজেটের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, এই বাজেটে বেশ ভালো ভালো কথা আছে, প্রতিশ্রুতি আছে কিন্তু এটা বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট মনে হয়নি। কারণ সশস্ত্র বাহিনী এখন বড় হয়ে গেছে। নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বাজেটকে ঢাউস বাজেট বলাই যায়। এই বাজেটের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন। এই বাজেট বাস্তবায়ন করা কতটুকু সম্ভব হবে, আমি জানি না। সামনে নির্বাচন রেখে এই বাজেট দেওয়া হয়েছে।’

বাজেট নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, কোন বাজেটের সাইজ দিয়ে কোয়ালিটি নির্ধারিত হয় না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই বাজেট জনগণকে শোষণ করছে। এই ভুয়া বাজেট দিয়ে কখনো বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিলাসী বাজেটে প্রকল্প বাড়ানোর উদ্দেশ্যই হলো লুটপাট। কেবল সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের তুষ্ট করার জন্যই এ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এ বাজেটে জনমতের কোনো প্রতিফলন নেই।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৩২ঘ.)