বিএনপির বিজয় র‌্যালিতে জনতার ঢল

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শপথ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শপথ

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বিজয় র‌্যালি নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুর ৩টার দিকে এ র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালিতে জনতার ঢল নামে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়।

এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদল, কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিলসহ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালরে সামনে আসে। র‌্যালি শুরু হলে সড়কের দু’পাশে থাকা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা হাত নেড়ে কখনো করতালি দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দিতে থাকেন।

বিজয় র‌্যালীতে নেতাকর্মীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়া, লও সালাম, লও সালাম’, ‘কে বলে রে জিয়া নাই, জিয়া সারা বাংলায়’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’ ‘ভয় নেই খালেদা জিয়া, আমরা আছি তোমার সাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। রং বেরঙের পোশাক পড়ে মহিলাদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিজয় র‌্যালিতে অংশ নেন। বিএনপির দলীয় পতাকার পাশাপাশি ঘোড়ার গাড়ি, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রতিকৃতি নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। ব্যান্ড সঙ্গীতের দলও ছিলো। অনেকে মুক্তিযোদ্ধার সাজ সেজে র‌্যালিতে অংশ নেন।

এর আগে বিজয় র‌্যালিতে অংশ নিতে দুপুর ১টা থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির শপথ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের ৪৬তম বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য এ র‌্যালি করলো বিএনপি।

রবিবার বেলা ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃতে র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালিটি নয়াপল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর হয়ে মৌচাক মোড়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।

বিজয় র‌্যালির উদ্বোধনকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচনে ‘জনরায়’ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন বর্তমান ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ঘটিয়ে একটি নিরপক্ষে সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনরায় প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে রুখে দাঁড়াই, প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিজয় র‌্যালির মাধ্যমে গণতন্ত্রের দাবিকে আরো বেগমান করি।



মির্জা আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অভিষ্ট স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে। গুম করে দেয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই বিজয় র‌্যালিতে আহ্বান জানাচ্ছি আসুন বর্তমান ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ঘটিয়ে একটি নিরপক্ষে সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনরায় প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে রুখে দাঁড়াই, প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিজয় র‌্যালির মাধ্যমে গণতন্ত্রের দাবিকে আরো বেগবান করি।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানি করছে। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। তাই গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে এ কারাগার ভাঙতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মির্জা আলমগীর।

র‌্যালিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, নাজিমউদ্দিন আলম, মহিলা দলের নুরী আরা সাফা, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, রোকেয়া চৌধুরী বেবী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, অন্যদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, রাজীব আহসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, রফিক সিকদার, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৪৪ঘ.)